বিজেপি প্রার্থী হয়ে বীরভূম থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা দেবাশিস ধর। কিন্তু তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়ে গিয়েছে। এর জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ি করেছে গেরুয়া শিবির। সেই প্রসঙ্গে প্রথমবার মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। না নাম করে বক্তব্যের ঠারেঠোরে জানিয়ে দিলেন কেন দেবাশিস ধরের মনোনয় বাতিল হয়েছে।
রবিবার মালদা উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় সমর্থনে প্রচার সভায় এই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দেখলেন একজন আইপিএস পদত্যাগপত্র গৃহিত হলেও, আর এক জন প্রার্থী হতে পারলেন না ত্রুটি ছিল বলে। প্রসূন এমন একজন মানুষ যে পুলিশের সব মহলে কাজ করেছে। কিন্তু ওর নামে কোনও দিন কোনও মানুষ মারার বদনাম ছিল না। ওর নামে কোনও দিন কোনও অভিযোগ ছিল না। ওর নামে কোনওদিন গুলি চালানোর অভিযোগ ছিল না। ও চিরকাল দৌড়ে গিয়েছে।’
আরও পড়ুন। চোখ দেখলে বুঝতে পারি এরাই কাজ করবে, CPIM-র সঙ্গে জোট করতে কংগ্রেসকে বারণ করেছিলাম, দাবি মমতার
অর্থাৎ নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী শীতলকুচির গুলি চালানোর ঘটনার প্রসঙ্গ তুলেছেন। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়। সেই সময় কোচবিহারের পুলিশ সুপার ছিলেন দেবাশিস ধর। মুখ্যমন্ত্রী সে দিকেই ইঙ্গিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, ভোটে দাঁড়ানোর জন্য দিল্লি গিয়ে পুলিশে চাকরি থেকে ইস্তফা দেন দুই পুলিশ কর্তা প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ও দেবাশিস ধর। উভয়ের ইস্তফাপত্র গৃহিত হয়। কিন্তু যেহেতু তাঁরা রাজ্যে কর্মরত ছিলেন তাই তাঁদের রাজ্যের ছাড়পত্র নেওয়া জরুরি ছিল।
আরও পড়ুন। শাঁখা-পলা কী জানেন? মালদা থেকে মঙ্গলসূত্র বিতর্ক ফের হাজির করলেন মমতা
বিজেপির অভিযোগ, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়পত্র দেওয়া হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দেবাশিস ধরকে ছাড়পত্র দেয়নি। যেহেতু তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তাই তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। তাঁর মনোনয়ন বাতিলের পর এই ইস্যুতে সরব হয় গেরুয়া শিবির। কিন্তু তাঁর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন, রাজ্য সরকারের জন্য দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল হয়নি। শীতলকুচির জন্য তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়ে থাকতে পারে।
আপও পড়ুন।'আমি এখনও বার কাউন্সিলের সদস্য!…ওরা চাকরিখেকো বাঘ…' ২৬০০০ বাতিল নিয়ে তোপ মমতার