গুজরাটের ২৬টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে গান্ধীনগর অন্যতম। রাজ্যটির রাজধানী শহর হিসেবে যেমন একটি গুরুত্ব রয়েছে গান্ধীনগরের, এর সঙ্গে সঙ্গে এই কেন্দ্রের রাজনৈতিক ইতিহাসও গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় জনতা পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত গান্ধীনগরে একের পর এক খ্যাতনামা নেতা সংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী, প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা লালকৃষ্ণ আডবানি এই কেন্দ্র থেকে বারংবার নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে মোদী মন্ত্রিসভার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই কেন্দ্রের সাংসদ। লোকসভা নির্বাচনের ইতিহাসের নজর রাখলে দেখা যাবে ১৯৬৭ এবং ১৯৭১ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সোমচাঁদ ভাই সোলাঙ্কি জয়লাভ করেছিলেন এই কেন্দ্রে।
১৯৭৭-এর লোকসভা নির্বাচনে জনতা দলের পক্ষ থেকে পুরুষোত্তম মাভালঙ্কার এই কেন্দ্রের সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৮০ সালের লোকসভা নির্বাচনে অমৃত প্যাটেল জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই কেন্দ্রে জয়ী হন। ১৯৮৪ সালে জি আই প্যাটেল ফের একবার কংগ্রেসের টিকিটে এই কেন্দ্রে সংসদ নির্বাচিত হলেও এর পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রটি বিজেপির দখলে চলে যায়। ১৯৮৯ সালে শংকর সিংহ বাঘেলা এই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন, তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন। ১৯৯১ সালে এই কেন্দ্র থেকে অটলবিহারী বাজপেয়ী সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে উপ-নির্বাচনে বিজয় ভাই প্যাটেল বিজেপির পক্ষ থেকে জয়ী হন।
১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ মেয়াদে গান্ধীনগর কেন্দ্র থেকে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন লালকৃষ্ণ আডবানি। সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনে ২০১৯ সালে অমিত শাহ এই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন। ২০১৪ এবং ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচন গুলিতে ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের প্রার্থীদের ভোটের ব্যবধান থেকেছে ৪০ শতাংশের কাছাকাছি। সর্বশেষ গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের দিকে চোখ রাখলে দেখা যাবে গান্ধীনগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত গান্ধীনগর উত্তর, কল্লোল, সানন্দ, ঘাটলোদিয়া, ভেজালপুর, নারানপুরা এবং সবরমতি এই প্রত্যেকটি কেন্দ্রেই ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন গত বিধানসভা নির্বাচনে। আগামী ৭ মে এই কেন্দ্রের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অমিত শাহের বিপরীতে জাতীয় কংগ্রেসের সোনাল প্যাটেল এই কেন্দ্রের প্রার্থী। ফলাফল জানা যাবে ৪ জুন।