২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি মহা ধুমধাম করে রামমন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল রামলালার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতেই সেই প্রাণপ্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হয়েছিল। এর জন্যে জানুয়ারি মাসের কনকনে ঠান্ডার মধ্যে ১১ রাত মেঝেতে শুয়ে 'অনুষ্ঠান' পালন করেছিলেন মোদী। তবে জানুয়ারির পর আর রামলালার দর্শন করতে অযোধ্যায় যেতে পারেননি মোদী। তবে এবার ভোট প্রচারের জন্য অযোধ্যায় পৌঁছেই সোজা রামমন্দিরে পা রাখলেন নমো। রামলালার সামনে শুয়ে পড়ে প্রমাণ করলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর এই ভক্তির মুহূর্তের ছবি ও ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। (আরও পড়ুন: সন্দেশখালি 'স্টিং অপারেশন' নিয়ে গঙ্গাধরের সাফাইয়ের পর 'অন্য সুর' রেখার গলায়)
আরও পড়ুন: খেলা ঘুরবে বাঁকুড়ায়? সুভাষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী BJP নেতাকে সমর্থন হিন্দু সংগঠনের
এদিকে রামমন্দিরে রামলালার দর্শনের পর অযোধ্যায় বিশাল রোড শো করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সঙ্গে সেই সময় ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির 'হিন্দুত্বের পোস্টার বয়' যোগী আদিত্যনাথ। সেই সময় মোদী ও যোগীকে ফুলের পাপড়ি দিয়ে স্বাগত জানান বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। সঙ্গে উঠতে থাকে 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান। রিপোর্ট অনুযায়ী, অযোধ্যার সুগ্রিব ফোর্ট থেকে লতা চক পর্যন্ত রোড শো করেন মোদী।
আরও পড়ুন: ভোটারদের ফোন নম্বর নিয়ে বড় প্রতিশ্রুতি TMC-র, বিধি ভঙ্গের অভিযোগ BJP-র
এধিকে রবিবার উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনী জনসভায় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন মোদী। তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'শুধুমাত্র ৫ বছর নয়, বরং আগামী ২৫ বছরের জন্য পরিকল্পনা করছি আমি। মোদী থাকুক কি না থাকুক, দেশ সবসময় থাকবে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার ১০ বছরের মেয়াদ পূর্তির আবহে তাই আমি আপনাদের আশীর্বাদ কামনা করছি। আমি সততার সঙ্গে পরিশ্রম করে গিয়েছি আপনাদের জন্য। দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছি। সেই উন্নয়নের প্রক্রিয়ার শিলান্যাস করে দিয়ে যাব আমি। আমার কেউ নেই। যেমন যোগী, তেমন মোদী। তাই আপনাদের সন্তানদের জন্য সবটা রেখে যেতে চাই আমি।'
এদিকে জনসভা থেকে কংগ্রেসের সংখ্যালঘু তোষণ নিয়েও আজ সরব হন মোদী। তাঁর কথায়, ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ করতে চাইছে কংগ্রেস। রবিবার মোদী ফের বলেন, 'কংগ্রেসের ইস্তাহারে মুসলিম লিগের ছাপ রয়েছে। ৭৫ বছর আগে সংবিধানের রচয়িতা বিআর আম্বেদকর এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, ধর্মে ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ দেওয়া হবে না। তবে কংগ্রেস ফের একবার ধর্মের ভিত্ততিতে দেশভাগ করতে চাইছে।'