সন্দেশখালি নিয়ে বিতর্ক থামছেই না। সম্প্রতি এক 'স্টিং অপারেশন' ঘিরে ফের জোর চর্চায় সন্দেশখালি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিয়োতে দাবি করা হয়, এক বিজেপি নেতা নিজে মুখে স্বীকার করেছেন যে সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলি 'সাজানো'। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। সেই ভিডিয়োকে হাতিয়ার করেই অবশ্য বিগত কয়েকদিন ধরে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে ভিডিয়োতে দেখা যাওয়া সেই নেতা আবার দাবি করেছেন, তাঁর কণ্ঠস্বর বিকৃত করা হয়েছে সেই ভিডিয়োতে। আর এবার এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলে বড় দাবি করলেন বসিরহাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। তবে তাঁর দাবির সঙ্গে ভাইরাল মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালের দাবির সঙ্গে মিলছে না।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল এক 'স্টিং অপারেশনের' ভিডিয়ো। দাবি করা হয়, সেই ভিডিয়োতে সন্দেশখালি ২ মণ্ডলের সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল দাবি করছেন যে মহিলাদের ফুসলিয়ে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশে ধর্ষণের অভিযোগ করানো হয়েছে। আসলে কোনও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। আর এই কাজে টাকা ও মোবাইল ফোন দিয়ে সাহায্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে পরবর্তীতে গঙ্গাঝর সেই ভাইরাল ভিডিয়ো প্রসঙ্গে দাবি করেছিলেন, ভিডিয়োতে প্রযুক্তির সাহায্যে তাঁর ছবি এবং কণ্ঠস্বর বিকৃত করা হয়েছে। এই সবের মাঝে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী রেখা পাত্র দাবি করলেন, গঙ্গাধরের বউ-বাচ্চার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে হয়ত এই মিথ্যা বলিয়েছে তৃণমূল।
সাম্প্রতিক সেই ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে একদিন আগেই ভিডিয়ো বার্তায় গঙ্গাধর কয়াল বলেন, 'ওই ভিডিও চক্রান্ত এবং ষড়যন্ত্র করে বানানো হয়েছে। হাই টেকনোলজির মাধ্যমে আমার কণ্ঠস্বর বিকৃত করা হয়েছে। আমি সিবিআইকে পুরো কথা জানাব।' আর এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে রেখা পাত্র বললেন, 'এটা তৃণমূলের একটা চাল। ওরা হেরে যাওয়ার ভয়ে এই সব করছে। যে কোনও কিছুর বিনিময়ে বিজেপির ক্ষতি করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। এই নিয়ে তাই আমার কিছুই বলার নেই। তবে এটা তৃণমূলের কাজ। হয়ত ওঁর (গঙ্গাধর কয়াল) বাড়িতে গিয়ে বউ-বাচ্চার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ওঁকে দিয়ে মিথ্যা কথা বলানো হয়েছে।' তবে গঙ্গাধরের দাবি, তিনি এই সব কিছু বলেননি। তাঁর কণ্ঠস্বর বিকৃত করা হয়েছে। এই আবহে বিজেপির মধ্যে যে এই গোটা বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট কোনও ধারণা নেই, তা প্রকাশ্যে চলে এল।