মিম নিয়ে তরজা শুরু হল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মিম পোস্ট করা হওয়ায় কলকাতা পুলিশের তরফে নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। আর সেই বিষয়টি সামনে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর নিজের মুখ বসানো একটি মিম ভিডিয়ো শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঠিক একইরকম ভিডিয়োয় শুধুমাত্র মমতার মুখ বসিয়ে মিম বানানো হয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে মোদীর ‘স্পোর্টসম্যান স্পিরিট’-র তারিফ করতে থাকেন নেটিজেনদের একাংশ। তা নিয়ে নাম না করে মোদীকে পালটা খোঁচা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করলেন যে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশেই সেই মিম নিয়ে পদক্ষেপ করেছে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স (এআই) দিয়ে তৈরি মিম ভিডিয়ো শেয়ার করে আদতে কমিশনের কর্তৃত্বকে 'সাহেব' খাটো করেছেন বলে দাবি করেন অভিষেক।
কী বলেছেন অভিষেক?
সোমবার রাতে অভিষেক বলেন, 'আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স (এআই) দিয়ে তৈরি কনটেন্ট মুছে দেওয়া এবং নীতি মেনে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার জন্য আজ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যখন সেইমতো কাজ করতে গিয়েছে কেপি (পড়ুন কলকাতা পুলিশ), তখন এআই দিয়ে তৈরি ট্রলিংয়ের বিষয়টি প্রচার করে নির্লজ্জের মতো নির্বাচন কমিশনের কর্তৃত্বকে খাটো করছেন সাহেব। যে প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের পবিত্রতা নিশ্চিত করে থাকে।'
মোদীর টুইট
অভিষেকের সেই টুইট করেন মোদীর পোস্টের পরে। মমতার মিম শেয়ার করে কলকাতা পুলিশের তরফে যখন এক নেটিজেনকে নোটিশ পাঠানো নিয়ে বিতর্ক চলছে, সেই আবহেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মারাত্মক একটি ভাইরাল ভিডিয়ো শেয়ার করেন মোদী। যে ভিডিয়োটি আদতে একজনের তুমুল নাচের দৃশ্য ছিল। আর তাতে বিভিন্ন মানুষের মুখ বসিয়ে মিম তৈরি করা হচ্ছে। এবার তাতে মোদী মুখ বসানো হয়।
আর সঙ্গে নাম না করে মমতাকে খোঁচা দিয়ে লেখা ছিল, ‘এই ভিডিয়োটি পোস্ট করছি, কারণ আমি জানি যে ডিক্টেটর (একনায়ক) আমায় গ্রেফতার করিয়ে দেবেন না।’ ভিডিয়োটি রিটুইট করে মোদী বলেন, 'আপনাদের মতোই আমি আমার নাচটা উপভোগ করেছি। ভরা নির্বাচনী মরশুমে এরকম সৃজনশীলতা সত্যিই পুলকিত করে।'
মোদীর সেই টুইট দেখে রাজনৈতিক মহল কার্যত নিশ্চিত ছিল যে ওই পোস্টের মাধ্যমে আদতে মমতাকে খোঁচা দিয়েছেন মোদী। কোথাও মমতার নাম না করলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মিম ভিডিয়ো পোস্ট করা নিয়ে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ করার অভিযোগ উঠেছে, সেটা নিয়েই খোঁচা দেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ মোদী এবং মমতার মিমটা একই। শুধুমাত্র একটিতে মোদীর মুখ বসানো ছিল। অপরটিতে বসানো ছিল মমতার মুখ।