গরমের গুঁতোয় কলকাতা এবং সংলগ্ন শহুরে এলাকায় রাতে একইসঙ্গে ১০ লাখ এসি চলেছে। গত সপ্তাহে যখন রাতের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে উঠে গিয়েছিল, তখন কলকাতা এবং সংলগ্ন শহরাঞ্চলের (সল্টলেক, নিউ টাউন, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি) প্রায় প্রতি চারটি বাড়ির মধ্যে একটি বাড়িতে এসি চলেছে বলে দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সপ্তাহে রাতে কলকাতায় প্রায় ৮.৫ লাখ এসি ব্যবহার করা হয়েছে। সল্টলেক এবং নিউ টাউনকে মিলিয়ে নিয়ে সেই সংখ্যাটা ১০ লাখ ছুঁইছুঁই।
এবার সিইএসসি এলাকার নয়া এসির সংখ্যা কত?
সূত্র উদ্ধৃত করে ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কলকাতা ও সংলগ্ন যে যে এলাকায় বিদ্যুৎ বণ্টন করে সিইএসসি, সেইসব এলাকায় চলতি বছর ইতিমধ্যে দু'লাখ এসি বসানো হয়েছে। যে সংখ্যাটা ২০২৩ সালে ছিল দু'লাখ। মে এবং জুন মাস বাকি থাকায় সেই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত।
আরও পড়ুন: Ulnar Nerve: কনুইয়ের কাছে ঠোঁকা লাগলেই ইলেকট্রিক শকের মতো লাগে? কাদের এমন হয়
এমনিতে গত কয়েকদিন ধরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলায়-জেলায় প্রবল তাপপ্রবাহ চলেছে। জেলায়-জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি ছিল। কলাইকুণ্ডায় পারদ ৪৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে ফেলেছিল। গত ৩০ এপ্রিল কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছে গিয়েছিল। প্রায় ভেঙে দিয়েছিল ৭০ বছরের রেকর্ড। ১৯৫৪ সালের পরে কলকাতার তাপমাত্রা ২০২৪ সালেই প্রথমবার ৪৩ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। ১৯৫৪ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৩ ডিগ্রি। সল্টলেকের তাপমাত্রাও ৪৩ ডিগ্রির গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলেছিল। প্রবল গরমে পুড়েছে দমদমও।
গরম থেকে কিছুটা রেহাই
তবে আপাতত কয়েকটা দিন প্রবল গরম থেকে রেহাই পেতে চলেছেন দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আজ থেকে আগামী রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় (উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া) বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে।
আরও পড়ুন: AC Electric Bill Savings Tips: এসির জন্য এই মাসে ইলেকট্রিকের বিরাট বিল এসেছে? ভুল মোডই হয়তো দায়ী
শুধু তাই নয়, একাধিক জেলায় কালবৈশাখী হতে পারে। ঝড়ের বেগ ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটারে পৌঁছে যাবে। জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতেরও পূর্বাভাস জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আগামী দু'দিনের মধ্যে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা তিন ডিগ্রি থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যাবে। পরবর্তী তিনদিনে তাপমাত্রার তেমন হেরফের হবে না।