বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন আইপিএস অফিসার দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেল। জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তাঁকে 'নো ডিউজ' সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। এর জেরে দেবাশিসের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এই আশঙ্কা অবশ্য বিজেপির মনে আগে থেকেই ছিল। তাই বৃহস্পতিবার বিজেপির তরফ থেকে দেবতনু ভট্টাচার্য মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। তিনি বিজেপির রাঢ়বঙ্গের ক্লাস্টার ইনচার্জ। এই বীরভূম আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শতাব্দী রায়। তিনি এই আসনে ২০০৯ সাল থেকে জিতে এসেছেন। তবে এত বছর বীরভূমে চলত 'কেষ্ট ম্যাজিক'। এই প্রথম এই জেলায় অনুব্রত মণ্ডলকে ছাড়া ভোট হবে। (আরও পড়ুন: '২৬ হাজার পরিবারের সুখ ছিনিয়ে নিল TMC-র দুর্নীতি', মোদীর মুখে SSC রায়)
আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনে VVPAT'র ১০০% ভোট গণনা হবে? রায়দান করে কী জানাল সুপ্রিম কোর্ট
উল্লেখ্য, আগামী ১৩ মে চতুর্থ দফায় ভোট রয়েছে বীরভূমে। এই আবহে গতকালই ছিল বীরভূম কেন্দ্রের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। সেদিনই বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এসে দেবতনু ভট্টাচার্য বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এই বিকল্প প্রার্থী থাকার কারণেই বীরভূমে 'ফাঁকা মাঠে গোল' দিতে পারবে না তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে মনোনয়ন বাতিল প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন আইপিএস অফিসার দেবাশিস ধর জাান, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নো ডিউস সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। আর তাই তাঁর প্রার্থিপদ বাতিল করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সরকারি কর্মীর কাছে রাজ্য সরকারের কোনও পাওনা নেই, এই মর্মে নো ডিউজ সার্টিফিকেট দেওয়া হয় অবসরগ্রহণকারীকে।
আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুর 'স্ট্রাইক রেট' যেন বাড়ে, হাফ প্যান্ট পরে ভোটের লাইনে রাহুল দ্রাবিড়
এদিকে প্রার্থিপদ বাতিলের আগে পর্যন্ত জোর কদমে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছিলেন দেবাশিস। তবে আজ তাঁর প্রার্থিপদ বাতিল হল। সম্প্রতি জেলায় প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেবাশিসের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভাগীয় তদন্তের কথা বলেছিলেন। এদিকে দেবাশিস বিজেপিতে যোগ দিয়ে দাবি করেছিলন, তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে, শীতলকুচির ঘটনার জন্যে নয়। তাঁর দাবি ছিল, ভোটে তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। তাঁর ভূমিকা নিরপেক্ষ থাকায় তাঁর ওপরে সরকারের কোপ পড়ে বলে দেবাশিসের অভিযোগ। উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহারে শীতলকুচি এলাকায় গুলি চলাকালীন সেখানে পুলিশ সুপার ছিলেন দেবাশিস। তারপর সেখান থেকে তাঁকে সরিয়ে দেয় নবান্ন। কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে রাখা হয়েছিল।