জায়গায় জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস এই নিয়ে লেখে, 'নিরাপদে নির্বাচন করার জন্যে বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু তারা বাংলার গণতন্ত্রে হস্তক্ষেপ করছে।' তৃণমূলের অভিযোগ, বালুরঘাট পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটারদের আটকানো হচ্ছে। এমনকী ভোটারদের হেনস্থার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তৃণমূলের। এই আবহে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে ট্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেস সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় প্রশ্ন করে, 'এটাই কি আপনাদের সুষ্ট নির্বাচনের নমুনা?' এদিকে বালুরঘাটের বাতুনে ২০২ নং বুথেও বিএসএফ ভোটারদের হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ করে তৃণমূল কংগ্রেস। এছাড়া বালুরঘাটের হরিরামপুরে মহিলাদের ভোট দিতে যাওয়া থেকে বাহিনী আটকাচ্ছে বলে অভিযোগ। (আরও পড়ুন: ভোটে টাকার ছড়াছড়ি, ফের উদ্ধার বিপুল পরিমাণ নগদ, কার্শিয়াঙে আটক GNLF নেতা)
আরও পড়ুন: রায়গঞ্জে EVM কারচুপির অভিযোগ, 'লোডশেডিং শুভেন্দুর চাল', তোপ তৃণমূলের
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র ঋজু দত্ত বলেন, 'আজ বালুরঘাটে ভোট হচ্ছে। সেখানে বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। তিনিই সেই ব্যক্তি, যিনি বারবার কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখে বাংলার টাকা আটকে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে এসেছেন। বালুরঘাটের জনতা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন যে সুকান্তকে ৪ জুন 'প্রাক্তন সাংসদ' করা হবে। আর তাই সকাল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে। ভোটারদের মারধর করা হচ্ছে। মহিলা ভোটারদের আটকানো হচ্ছে। ভোট বুথের সামনে খুব জঘন্য পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে যাতে মানুষ ভোট দিতে না যায়। বালুরঘাটের জনতা বিজেপিকে হারাচ্ছে। তাদের বাইরের পথ দেখাচ্ছে। এর জন্যে বিজেপি ভয় পেয়ে আছে। বিজেপি ও সুকান্ত মজুমদারের লজ্জা হওয়া উচিত।'
এদিকে আজ ভোট শুরু হতে না হতেই অশান্তি শুরু হয় বংলায়। আজ ভোটগ্রহণ পর্ব শুরুর আগেই রায়গঞ্জে এক মহিলা এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। দেবপুরী দেবীনগর এলাকায় কংগ্রেসের মহিলা পোলিং এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। অপরদিকে ভোটের দিন সকাল সকাল এলাকায় ঘুরে টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার হরসুরা অঞ্চলের রামপুর ও কৃষ্ণবাটি বুথে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ বিজেপির। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তবে বিজেপি এই নিয়ে কমিশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। অন্যদিকে চোপড়ার ঘির্নিগাঁও এলাকায় মহিলা ভোটারদের ‘সাদা থান’ পরানোর নাম রে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বিজেপিকে ভোট দিলে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ওদিকে গঙ্গারামপুরে বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ সুকান্ত মজুমদরের। সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি দাবি করেন, তৃণমূল কংগ্রেস সেখানে ‘নাকা চেকিং’ করছে। তৃণমূলের ভোটারদেরই বুথ পর্যন্ত যেতে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।