লড়াকু বাঙালির থিমকে সামনে রেখেই শুরু হয়েছিল দাদাগিরির সিজন ১০। গত সপ্তাহে প্রতিযোগী হিসেবে ছিলেন এক মহিলা ট্রেনচালক। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের একমাত্র মহিলা লোকো পাইলট তিনি, নাম দীপান্বিতা দাস। ছোটবেলা থেকে সাধারণ পরিবারে বেড়ে ওঠা, কখনও ভাবেনওনি যে, ট্রেনের ড্রাইভারি তাঁর পেশা হবে। দীপান্বিতার গল্প অনুপ্রেরণা দিল বাংলার মহারাজকেও।
সৌরভ দীপান্বিতার কাছে জানতে চান, তাঁর বাড়িতে কেউ কি কাজ করত ভারতীয় রেলে, যা দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন? তাতে এই বিষ্ময়-মহিলা জবাব দেন, ‘আমাদের বাড়ির কেউই এর আগে রেলওয়েতে ছিল না। আমার বাবা মেদিনীপুর কলেজের প্রফেসর। আমার বাড়ির সবাই শিক্ষাগতার লাইনে রয়েছে। আমিও টিচার হতেই চেয়েছিলাম। ছোটবেলায় খুব রোগা ছিলাম। কলেজ থেকে যখন ফিরতাম বন্ধুরা বলত, ট্রেনের বেশি কাছে যাস না, উড়িয়ে নিয়ে চলে যাবে।’
আরও পড়ুন: গাড়ি-বাড়ি বিক্রি, মোটা চেহারা নিয়ে ট্রোল! ফিরছেন আমির খানের ভাগ্নে ইমরান খান, কোন সিনেমা?
মেদিনীপুর থেকে হাওড়া, আর হাওড়া থেকে মেদিনীপুর, প্রতিদিন হাজারও মানুষকে তাঁদের গন্তব্য সুরক্ষিত পৌঁছে দেওয়ার গুরু দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। একজন মহিলাকে ট্রেন চালাতে দেখে কীরকম প্রতিক্রিয়া পান? সৌরভের প্রশ্নে তিনি জানান, ‘ওরা তো আগে ওরকম দেখেনি। প্রথম প্রথম খুব আবাক হত। তবে এখন অনেকেই জেনে গিয়েছে। মাঝে মাঝে লোকে খুব প্রশংসা করে। বেশ ভালোলাগে তখন। অন্যরকম একটা কাজ। ভালো উপভোগ করছি।’
আরও পড়ুন: বোন তুলে খিস্তি পাপারাজ্জোর! ছেড়ে কথা বললেন না রণবীর, কী করলেন আলিয়ার বর?
এত বড় একটা দায়িত্বের কাজ, সংসারেও কিন্তু অনেক চাপ। দুই ছেলে-মেয়েকে মানুষ করেছেন। তাঁর ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণি এবং মেয়ে একাদশ শ্রেণিতে পড়ছে এখন। স্বামীও করে রেলের চাকরি। ‘ছেলেমেয়ে খুব প্রশংসা করে আমার। ছোটবেলা ওদের কেউ যখন জিজ্ঞাসা করত, মা-বাবা কী করে। ওরা বলত, মা ট্রেন চালায়। লোক বিশ্বাস করত না। আমার দিকে ঘুরে তাকাত। আমি বলতাম, হ্যাঁ আমি সত্যিই ট্রেন চালাই।’, জানান দ্বীপান্বিতা। সৌরভ দীপান্বিতার কথা শুনে বলে ওঠেন, ‘আপনিই অনুপ্রেরণা ম্যাডাম’।
আরও পড়ুন: কীভাবে ব্যাকিং ছাড়া এক দশক পার করলেন বলিউডে? সহজ সত্যিটা বললেন তাপসী
বরাবরই জনপ্রিয় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই গেম শো দাদাগিরি। নতুন সিজন শুরু হলেও, দর্শকদের উন্মাদনা থাকে তুঙ্গে। কদিন আগে দিল্লিতেও শ্যুট করা হয়েছে। সেখানকার প্রবাসী বাঙালিদের নিয়ে খেলেছেন সৌরভ।
খুব জলদিই দাদাগিরির ১০ নম্বর সিজন শেষ হবে বলে খবর রয়েছে। কাৎণ শুরু হবে সারেগামাপা। যদিও কবে বাজবে বিদায় ঘণ্টি, তা এখনও জানানো হয়নি।