দাদাগিরির মঞ্চে এবার হাজির 'দুর্গাপুরের সোনার মেয়ে' সীমা দত্ত চট্টোপাধ্যায়। পেশায় পাওয়ার লিফটার সীমা। তাঁর পেশিবল দেখে হাঁ দাদা। শাড়ি পরেই কেরামতি দেখালেন দাদাগিরির স্টেজে। এদিন ৪০ কেজি ওয়েট লিফট করলেন সীমা, ৮০ কেজি ডেডলিফট করেও দেখালেন দুর্গাপুরের এই ‘ধাকড়’ গৃহবধূ। দেশ-বিদেশের অসংখ্য প্রতিযোগিতায় জিতেছেন অজস্র মেডেল। সেই পুরস্কারের ঝাঁপি নিয়েই দাদার সামনে সীমা। আরও পড়ুন-দিল্লিতে ‘দাদাগিরি’র শ্যুটিং! সৌরভের জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত, কবে শেষ হচ্ছে এই শো?
সংসার, ব্যবসা এবং তারই সঙ্গে নিজের প্যাশন- পাওয়ার লিফটিং সবটা সামলাচ্ছেন সীমা। দাদার মুখে নিজের প্রশংসা শুনে লজ্জায় লাল প্রতিযোগী। এদিন সৌরভের প্রতি নিজের ভালোবাসা জাহির করেন সীমা। জানান, তাঁর বেড়ে ওঠবার দিনগুলোতে সৌরভ অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।
সীমাকে বলতে শোনা গেল, ‘সবে স্কুল থেকে কলেজে যাব-যাব করছি। তখন শুনছি বাংলার একজন ছেলে, দেশ নয় বিদেশে আমাদের বাংলার গৌরব ছড়িয়ে দিয়ে আসছে। সালটা ১৯৯৬ হবে। তুমি যে আমাদের শুধু ভালোবাসার মানুষ তা নয়, তুমি আমাদের মনের মানুষ’।
সীমার পদক তালিকা দীর্ঘ। ২০২২-তে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ান হন সীমা, পরবর্তীতে এশিয়া-প্যাসিফিক প্রতিযোগিতাতেও ৬টা সোনার পদক পান দুর্গাপুরের এই কন্যে। নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত পাওয়ারলিফটের কমনওয়েলথ প্রতিযোগিতায় সোনার পদক পান সীমা। যা শুনে স্তম্ভিত সৌরভ। বলেই ফেললেন, ‘এটা তো বিরাট অ্যাচিভভেন্ট। আমি তোমার সঙ্গে এই পদকটা ধরে একটা ছবি তুলতে চাই’।
চল্লিশোর্ধ এই গৃহবধূ এখনও স্কোয়াট, বেঞ্চ প্রেস, ডেড লিফট নিয়মিত করেন শুনে রীতিমতো অবাক দাদা। সীমাকে ‘ম্যাজিক ওমেন’-এর খেতাব দিলেন সৌরভ। অন্যদিকে দাদার হাত থেকে নিজের কমনওয়েলথের জেতা পদক আরেকবার নিয়ে গর্বিত সীমা। জানান, তাঁর এতদিনের পরিশ্রম সঠিক দাম পেল। বঙ্গনারী শাড়িতে সব পারে এদিন দেখিয়ে দিলেন দুর্গাপুরের এই কৃতি কন্যা।
অন্যদিকে দাদাগিরি ১০ শেষ হওয়া নিয়ে টেলিপাড়ায় শুরু হয়েছে জল্পনা। শুরু হয়ে গিয়েছে সারেগামাপা লেজেন্ডসের শ্যুটিং। তাহলে কি আইপিএলের পরেই শেষ হবে দাদাগিরি? এই নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে শো-এর পরিচালক অভিজিৎ সেন জানান, ‘এখনও কিছু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কথাবার্তা চলছে, দেখা যাক। শেষ হলে একটা খারাপ লাগা তো থাকেই, তবে দাদাগিরি কিন্তু এখন শেষ নয়। আর যে কোনও শেষ কিন্তু নতুন কিছুকে শুরু হতে সাহায্য করে।'