কখনও মিড ডে মিল আবার কখনও অনুষ্ঠানের খাবার খেয়ে অনেকের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর প্রায়ই শোনা যায়। আর এবার জল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল অনেকেই। মুর্শিদাবাদের একটি মিশনে জল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল ১৪ জন পড়ুয়া। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের লালগোলা থানার অন্তর্গত ধুলাউড়িতে দিয়ার ফতেপুর মিশনে। ঘটনায় তড়িঘড়ি অসুস্থ পড়ুয়াদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, জলে বিষক্রিয়া থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন: কর্ণাটকের মন্দিরে প্রসাদ খেতেই বমি, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ১৩৫ জন, মৃত ১
জানা গিয়েছে, ফতেপুরের ওই মিশনে বহু পড়ুয়া পড়াশোনা করে। মিশনে পানীয় জলের ব্যবস্থা রয়েছে। সেখান থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করে খেয়ে থাকে পড়ুয়ারা। সেরকমই মিশনের পড়ুয়ারা শুক্রবার সকালে মিশনের জল খায়। আর তারপরে ঘটে বিপত্তি। জল খেয়ে একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ে ১৪ জন পড়ুয়া। জানা যাচ্ছে, মিশনে যে ট্যাঙ্ক রয়েছে সেই ট্যাঙ্কের জল খেয়েছিল পড়ুয়ারা। খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায় মিশনে। কারও বমি, কারও পেটব্যথা আবার কারও মাথা ঘোরা শুরু হতে থাকে। এর পরে খবর পেয়ে তড়িঘড়ি মিশন কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের প্রথমে লালগোলার কানাপুকুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। খবর দেওয়া হয় পড়ুয়াদের বাড়িতে। খবর পেয়েই অভিভাবকরা ছুটে আসেন হাসপাতালে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে সব পড়ুয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে এখনও তারা হাসপাতালে ভরতি রয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। যদিও কী কারণে মিশনের জলে বিষক্রিয়া দেখা দিল তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: ফুচকা খাওয়ার পর থেকে শুরু হয়েছিল পেটে ব্যথা, নদিয়ায় মৃত্যু হল প্রৌঢ়ার
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, দুদিন আগেই ট্যাঙ্কারটি ব্লিচিং পাউডার দিয়ে পরিষ্কার করা হয়েছিল। জলের ফিল্টার সেই কারণে বন্ধ করা হয়েছিল। তারপর আর ফিল্টার খোলা হয়নি। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, জলের সঙ্গে কেউ কিছু মিশিয়ে থাকতে পারে। সেই কারণে বিষক্রিয়া তৈরি হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে স্কুলের জলে বিষক্রিয়া হল তা জানতে জল পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।