পালিয়ে বিয়ে করে ৪ দিনের মাথায় আত্মঘাতী হলেন এক যুবক ও তাঁর নাবালিকা স্ত্রী। সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের ঘটনা। নিহত শুভ দাস (২২) ও মৌমিতা মিত্র (১৭) অশোকগনরের সাহাপুকুর এলাকার বাসিন্দা। আত্মঘাতী হওয়ার আগে এক ভিডিয়োয় এই সিদ্ধান্তের জন্য নিজের বাবা ও মা-কে দায়ী করেছে নাবালিকা।
রেল পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার ভোর ৪টে ৩০ মিনিট নাগাদ বনগাঁমুখি প্রথম ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন শুভ ও মৌমিতা। গত ২২ ফেব্রুয়ারি পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। তার পর শুভর বিরুদ্ধে নাবালিকা মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন মৌমিতার বাবা। সেই মামলায় সোমবার গোপন জবানবন্দি দেওয়ার কথা ছিল মৌমিতার। তার আগেই ভোরে আত্মঘাতী হল যুগল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সামাজিক মাধ্যমে এক ভিডিয়োয় নাবালিকা দাবি করে, শুভর সঙ্গে বিয়ে মেনে নেবে না বলে জানিয়ে তাকে বাড়িতে ফিরে আসতে চাপ দিচ্ছেন বাবা ও মা।
ওদিকে নিহত বধূর বাবা জানিয়েছেন, ওদের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল আমরা জানতাম। আমরা বলেছিলাম, মেয়ের বয়স ১৮ বছর হলে দেখাশুনো করে বিয়ে দেব। তার আগে বিয়ে দিলে পুলিশ তো আমাকে গ্রেফতার করবে। কিন্তু ওরা কোনও কথা শুনল না। শুভ আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখেছিল।
ঘটনার খবর পেয়ে পৌঁছয় বারাসত জিআরপি। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে তারা। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তরতাজা দুটো ছেলে - মেয়ের এই পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না স্থানীয়রা।