স্কুলের এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে খুদে পড়ুয়াদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল। সেই সঙ্গে মিড ডে মিলের খাবারের গুণমান নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দিলেন অভিভাবকরা। বুধবার এই সব কিছু নিয়েই শিক্ষাকেন্দ্রের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। অবশেষে স্কুল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অভিভাবকদের ক্ষোভ কিছুটা হলেও প্রশমিত হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা ২ নম্বর ব্লকের উল্টোবাদ নেতাজি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে। বেশ কিছুদিন স্কুলের এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ আসছিল। এদিন সেটা চরম আকার নেয়। স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। এদিন অভিভাবকরা ছুটে আসেন শিক্ষাকেন্দ্রে ও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের মতে, ‘নমিতা দিদিমনি বলে একজন শিক্ষিকা রয়েছে, তিনি বাচ্চাদের খুব প্রহার করেন। কিছু গণ্ডগোল করলেই ভীষণ মারধর করে।’ এখানেই থেমে থাকেননি অভিভাবকরা। তাঁদের অভিযোগ মিড ডে মিলের গুণমান নিয়েও। এই প্রসঙ্গে এক অভিভাবক অভিযোগ করেন, ‘বাচ্চাদের এমন খাবার খাওয়াচ্ছেন দিদিমনিরা যে বাচ্চারা বলছে মাছ খাব না। বাড়িতে যদি আমরা ভালোমন্দ রান্না করে থাকি, তাহলে বাচ্চারা বলে মাছ খাব না। বাচ্চাদের এমন নিরামিষ খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে যে বাচ্চারা মাছ খেতে চাইছে না।’
যে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ, তিনি অবশ্য বেধড়ক মারধর করার কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁর মতে, ‘একটি জিনিসকে যদি রূপ দেওয়া হয়, তাহলে বিভিন্ন রূপ হয়। আমি মেরেছি বলছি। কিন্তু প্রচণ্ড মেরেছি, সেটা ঠিক নয়। যাকে মেরেছি, ও একদিনও পড়া করেনি। তাই ওকে মেরেছি।’ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা লক্ষ্মীরানি মাইতি জানান, ‘আমার বিষয়টি জানা নেই। আমি একটু বেরিয়েছিলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’ স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে স্কুল কমিটির কাছে বিষয়গুলি তুলে ধরা হবে বলে জানা গিয়েছে।