পুরভোটের আগে থেকে অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে তৃণমূলে। এখন পুরবোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করেও বিভিন্ন পুরসভায় টানাপোড়েন চলছে তৃণমূলের অন্দরে। তৃণমূলের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, দলের ঠিক করে দেওয়া কাউন্সিলরদের পুরপ্রধান বা উপ প্রধান করা হবে। কিন্তু, অনেক কাউন্সিলরই দলের সিদ্ধান্তকে মেনে নিচ্ছেন না । যার জেরে চলছে এই টানাপোড়েন। বোর্ড গঠন নিয়ে টানাপোড়েন আপাতত সবচেয়ে বেশি চলছে নদিয়ার দুটি পুরসভায়। যার জেরে নদিয়ার ওই দুটি পুরসভার বোর্ড গঠন আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। নদিয়ার এই দুটি পুরসভায় হল চাকদহ এবং হরিণঘাটা পুরসভা।
গত কয়েকদিন ধরে এই সমস্যা দেখা দেওয়ায় আপাতত এখানে বোর্ড গঠন স্থগিত রেখেছেন জেলাশাসক। এই পরিস্থিতিতে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজেই ওই দুটি পুরসভায় গিয়ে বোর্ড গঠনের কথা জানিয়েছেন। ঘাটালের খড়া এবং বর্ধমানের কালনা পুরসভায় একই সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সে ক্ষেত্রে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল তৃণমূল। নদীয়ার শান্তিপুর পুরসভাতেও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় শহর সভাপতি বৃন্দাবন প্রামাণিককে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। এক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুরমন্ত্রী তথা পুরসভা সংক্রান্ত কাজকর্ম তদারকির দায়িত্বে থাকা নেতা ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছেন, ‘যারা দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের পক্ষ থেকে প্রধান এবং উপপ্রধানের নাম ঠিক করা হয়েছে। ফলে তা অবিলম্বে মেনে নিতে হবে।’
তৃণমূলের অন্দরের এই দ্বন্দ্ব নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য মনে করেন, ‘পুরসভাগুলিকে যেভাবে জোর করে বিরোধীশূন্য করা হয়েছে এখন তার ফল ভুগতে হচ্ছে। আসলে তৃণমূল পুরসভাগুলিকে বিরোধীশূন্য করে নিজেদের ধ্বংসের বীজ বুনেছে। ’