দুদিন আগেই উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় ন্যায় যাত্রা করে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার সেই চোপড়ায় জন সংযোগ যাত্রা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চোপড়া থেকে তাঁর বার্তা ‘আমি লড়ব, রক্ত দেব, তবু পালাব না।’
গত লোকসভা ভোটে দুই দিনাজপুরে শাসকদলের ফল ভাল হলেও, লোকসভা ভোটে লড়াইটা শক্তই হবে তা বলাই বাহুল্য। শাসকদলের ঘাড়ে কাছে বিজেপির পাশাপাশি নিঃশ্বাস ফেলছে কংগ্রেসও। বিশেষ করে রাজগঞ্জ আসনে উপর নজর রেখেছ তারা। সেই কারণেই রাহুলেরও ওই এলাকাকে ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রার পথ হিসাবে বেছে নেওয়া।
এদিন মমতা বলেন, ‘চোপড়া, ইসলামপুর, রায়গঞ্জে আমি মিছিল করেছি। এর পর রায়গঞ্জে ও বালুরঘাটে সভা করেছি। আমি লড়ব, আমি গড়ব। আমি মানুষের জন্য রক্ত দেব। আমি পালাব না।’
তিনি উয়ন্নয়ন প্রসঙ্গে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ আগে বঞ্চিত ছিল। এখানে কেউ আসত না। আমরা এখানে কাজ করেছি। আজ শুধু উত্তর দিনাজপুর জেলাতেই প্রায় ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করছি। একাধিক প্রকল্প যা আজ শিলান্যাস হল, তা আগামীদিনে হয়ে যাবে। এই মিটিং থেকে দুই লক্ষ মানুষের পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। আমরা ৭৫ ভাগ কাজ করি। আর ওরা জল দিই বলে প্রচার চালাচ্ছে। ঘরে ঘরে ওরা গ্যাসের দাম বাড়ায়। আর অত্যাচার করে।’
ডিম, মাংস খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বিজেপি
বক্তব্যে আবারও বিজেপিকে নিশানা করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘বিজেপি সরকারে এসে একাধিক রাজ্যে ডিম, মাংস খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। সব দোকান বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিচ্ছে। আপনারা কি খাবেন, কি পড়বেন তা ঠিক করে দিচ্ছে। আমাদের রাজ্যে তা হয় না।’
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সেই বাজেট প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘এবারও দেখবেন ভোট অন অ্যাকাউন্টে মিথ্যা কথা বলবে। শুধু বলবে এটা দেব, ওটা দেব। আর ভোট মিটলেই পালিয়ে যাবে। এবার ওরা ক্ষমতায় আসবে না।’
এদিন তিনি এনআর সি-র প্রসঙ্গও তোলেন রায়গঞ্জের সভায়। মমতা বলেন, ‘কেন্দ্র আবার বলছে এনআরসি করব, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি করব, আবার বলছে একতন্ত্র চলবে, গণতন্ত্র নয়। বর্ডার এলাকায় বিএসএফ বলছে আমার কার্ড নিতে হবে। বলবেন তোমার এক্তিয়ার নেই, এটা রাজ্য সরকারের এক্তিয়ার। আমার আধার কার্ড আছে, আমার রেশন কার্ড , আমরা সবাই এই দেশের নাগরিক।’