ব্রিগেডে 'জনগর্জন' সভা না গেলে পদ যাবে। সভার প্রচারে হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। রাত পোহালে ব্রিগেডে তৃণমূলের 'জনগর্জন' সভা। জনসভার প্রস্তুতি তুঙ্গে। জেলা থেকে কর্মীরা আসতে শুরু করেছে। এর মধ্যে মানস মানস ভুঁইয়ার বক্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিজেপি কটাক্ষ করে বলেছে, আসলে মন্ত্রী নিজের কথা ভেবেই এই হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন।
জেলায় জেলায় 'জনগর্জন' সভার জোর প্রচার চলছে। সবংয়েও জনগর্জন সভার প্রস্তুতি সভা হয়। সেই সভা প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জলসম্পদ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। কর্মী-সমর্থকদের ব্রিগেডে আসার জন্য আহ্বান জানাতে গিয়ে মানস ভুঁইঞার গলায় মুখে শোনা গেল হুমকির সুর। এদিন মন্ত্রী বলেন, 'যে নেতা-নেত্রী ১০ মার্চ ব্রিগেডে যাবেন না, ১১ মার্চ তাঁরা পদ হারাবেন।'
সবংয়ের সভায় মানস ভুঁইয়া বলেন, ‘নেতৃবৃন্দকে সাবধান করে দিয়ে বলছি, যে নেতা বা নেত্রী বিগ্রেডে যাবেন না, ১১ তারিখ তাঁরা পদ হারাবেন। কোনও লোকের পদ থাকবে না। এই মঞ্চে যত নেতা রয়েছে কারও পদ থাকবে না, যদি সে ব্রিগেডে না যায়। সবাইকে সাবধান করছি।’মন্ত্রীর মুখে এই রকম হুঁশিয়ারি শুনে কর্মীরাও কিছুটা হতবাক।
আরও পড়ুন। জনগর্জন সভা না, এটা চোরেদের বিসর্জন সভা: শুভেন্দু
তবে মন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারিকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ সাংবাদমাধ্যমকে বলেন,'আসলে মানসবাবুর পদ যাবে। ওঁকে তো টার্গেট দিয়ে দেওয়া হয়েছে, এত লোক আনতে হবে। না হলে পদ চলে যেতে পারে, শুধু পদ যাবে না, মার্ডার কেসটাও উঠতে পারে, ওঁর মন্ত্রিত্ব যেতে পারে, পরেরবার টিকিট নাও পেতে পারেন। ওঁকে তো মার্ডার কেসের ভয় দেখিয়েই দলে টেনেছিল। আমি ছোটবয়স থেকে মানসবাবুকে চিনি।'
প্রসঙ্গত, মানস তৃণমূলের আসার আগে কংগ্রেস করতেন। অন্যদিক বিজেপি নেতা সজল ঘোষের বাবা প্রদীপ ঘোষও কংগ্রেস নেতা ছিলেন। সেই সূত্রে সজল ঘোষের সঙ্গে পরিচয় রয়েছে মানসের।
আরও পড়ুন।দুর্নীতিগ্রস্ত, চরিত্রহীন জগাকে মানছি না, পোস্টার পড়ল রানাঘাটে
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীর বঞ্চনার প্রতিবাদে তৃণমূল ১০মার্চ রবিরার ব্রিগেডে জনগর্জন সভার ডাক দিয়ে। এই সভায় উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক ছাড়াও তৃণমূলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এই জনসভা থেকে লোকসভা ভোটের প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।