জয়নগরে তৃণমূল কংগ্রেস নেতার হত্যাকাণ্ডের রেশ এখনও কাটেনি। তা নিয়ে এখনও রাজ্য–রাজনীতি উত্তাল। সেখানে আবার একটা খুন। মঙ্গলবার মাঝরাতে বাড়ির সামনে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালিয়ে এক যুবককে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে ডালখোলা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়রামপুরে। কেন ওই যুবককে খুন করা হল? মাঝরাতে ওই যুবক কোথা থেকে আসছিলেন? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। তবে এই খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় আতঙ্কে ভুগছেন বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত ওই যুবকের নাম জেদা সোরেন ওরফে রাজা (২২)। মঙ্গলবার মাঝরাতে কালীপুজোর মেলা দেখে সপরিবারে বাড়ি ফিরছিলেন রাজা। বাড়ির কাছাকাছি এসে তখনও কিছু বোঝা যায়নি। যখন প্রায় বাড়িতে ডোকার মুখে তখন দেখা যায়,বাড়ির বাইরে মুখে মাস্ক পরা এক যুবক দাঁড়িয়ে। ওই যুবকের পরিচয় জানতে চায় তখন রাজা। ওই আগন্তুককে মুখ থেকে মাস্ক খুলতে বলেছিলেন রাজা। তখনই রাজাকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে মাস্ক পরা যুবক। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আনেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা ঘাবড়ে যান। যখন সম্বিৎ ফেরে তখন সব শেষ।
এদিকে গুলিবিদ্ধ যুবক যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকে। সেই চিৎকার শুনে ছুটে আসেন আশেপাশের পড়শিরা। তড়িঘড়ি যুবক রাজাকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার খবর পেয়ে অকুস্থলে আসে পুলিশ। তদন্ত শুরু করেছে ডালখোলা থানার পুলিশ। কে ওই যুবক? কেন মাস্ক পরে রাজার বাড়ির সামনে এসেছিল? কেন গুলি চালাল? এই গোটা ঘটনার রহস্যের কিনারা করতে চাইছে পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিদির বাড়িতে এসে হাজির ভাইরা, মুখ্যমন্ত্রী কাদের ভাইফোঁটা দিলেন নিজের বাসভবনে?
অন্যদিকে এই এলাকার কালীপুজোর মেলা বহু প্রাচীন। তা দেখে লোকজন রাতে ফেরেন। আগে এমন ঘটনা ঘটেনি। এই ঘটনার পর ডালখোলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান রামকৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, ‘এই কালীপুজোকে ঘিরে বরাবরই এলাকার মানুষ মেতে ওঠেন। অনেক রাত পর্যন্ত মেলা দেখেন। আনন্দ করেন। এমন ঘটনা ঘটবে আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি।’ তবে কেন ওই যুবককে খুন করা হল? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চান গ্রামের মানুষজন। পরিবারের দাবি, কোনও রাজনৈতিক দল করত না রাজা। তার কোনও শত্রু ছিল বলে জানা নেই। সকালে কাজে যেত। রাতে বাড়ি ফিরত।