প্রতিদিনই নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। এরফলে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছেন দরিদ্র মানুষ। এই অবস্থায় রেশন দোকান থেকে স্বল্পমূল্যে গরিব মানুষের হাতে খাদ্যশস্য তুলে দেওয়ার দাবি জানালেন রেশন ডিলারদের সংগঠন। এই মর্মে কেন্দ্রীয় খাদ্য ও বন্টন মন্ত্রকের মন্ত্রী পীযুষ গোয়েলকে প্রস্তাব দিলেন রেশন ডিলাররা। তাঁদের বক্তব্য, মূল্যবৃদ্ধির বাজারে দরিদ্র মানুষের কাছে স্বল্প মূল্যে খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য রেশন ব্যবস্থাকে ব্যবহার করা হোক।
আরও পড়ুন: রেশন ডিলারদের কমিশন বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা হোক, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি সৌগতর
রেশন ডিলারদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের বক্তব্য, প্রতিদিনই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির ফলে সবজির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবস্থায় বাজারে গিয়ে মনের মতো সবজি কিনতে পারছেন না দরিদ্র মানুষ। ফলে দরিদ্র মানুষের কাছে স্বল্পমূল্যে খাদ্যশস্য পৌঁছে দিতে গেলে রেশন ব্যবস্থাকে ব্যবহার করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতির সামাল দেওয়ার জন্য খোলা বাজারের থেকে কম দামে রেশন দোকান থেকে চাল, ডাল এবং ভোজ্য তেল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলে দরিদ্র মানুষ উপকৃত হবেন।
প্রসঙ্গত, বর্তমান বাজারদর নিয়ে ইতিমধ্যেই রেশন ডিলাররা ন্যাশনাল এগ্রিকালচার কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া এবং ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের সঙ্গে বৈঠক সেরে ফেলেছেন। কেন্দ্রের খাদ্যমন্ত্রীকেও সে বিষয়টি রেশন ডিলাররা জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, রেশন দোকান মারফত কম দামে গরিব মানুষকে খাদ্যশস্য দিতে গেলে সেক্ষেত্রে ঘুর পথ যেন অনুসরণ না করা হয়। তাহলে সে খাদ্য সদস্য রেশন দোকানে পৌঁছতে পৌঁছতেই দাম অনেক বেড়ে যাবে। যার ফলে খোলা বাজারের মতোই মূল্য হবে ওই সমস্ত খাদ্য শস্যের। এই অবস্থায় রেশন দোকানগুলিতে কম দামে খাদ্যশস্য দেওয়ার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা অনুসরণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন রেশন ডিলাররা।
রেশন ডিলারদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু দরিদ্র মানুষের খাদ্যশস্যের চাহিদা মেটানোর উপরই জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মুনাফা অর্জনের অনেক সময় পাওয়া যাবে। কিন্তু, বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে প্রতিদিনই খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই গরিব মানুষকে বাঁচাতে গেলে আগে তাঁদের রেশন দোকান থেকে কম দামে এই সমস্ত খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হোক। এর ফলে তাঁরা উপকৃত হবেন। আমরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আশা করব তিনি আমাদের প্রস্তাবটি বিবেচনা করবেন।’