বড় দিনের আগে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে খুলে যাচ্ছে গড়চুমুক মিনি জু। প্রায় দু’বছর ধরে সংস্কারের কাজের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল এই চিড়িয়াখানা। মিলি জু’কে মিডিয়াম জু’তে উন্নত করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণী রয়েছে হাওড়ার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র শ্যামপুরের এই গড়চুমুক মিনি জু’তে। এবার সেখানকার পশু পাখিদের আরও ভালোভাবে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিল বন বিভাগ। সেক্ষেত্রে গড়চুমুক মিনি জু’র পশু পাখিদের যে কেউ দত্তক নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: বড়দিনের আগে খুলছে গড়চুমুক চিড়িয়াখানা, উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এর জন্য নির্দিষ্ট টাকা নাগরিকদের চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে জমা দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি চাইলে এক বা তার বেশি পশু পাখি দত্তক নিতে পারেন। তবে চিড়িয়াখানা থেকে পশু পাখি বাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় পাবেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতেই এই ধরনের উদ্যোগ। উল্লেখ্য, আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে শুরু করে কোচবিহারের রসিকবিল চিড়িয়াখানা এবং অন্যান্য বেশকিছু চিড়িয়াখানায় এই ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। এবার সেই তালিকায় জুড়তে চলেছে গড়চুমুক চিড়িয়াখানার নাম।
চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই সেখানে কুমির, কাঁকর হরিণ, অজগর, বাঘরোল, বার্কিং বিয়ার, ইগুয়ানা সহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী নিয়ে আসা হয়েছে। সেই সমস্ত প্রাণীগুলিকে দত্তক দিতে চাইছে বন বিভাগ। যারা দত্তক নেবেন তারা বিশেষ সুবিধা পাবেন।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চিড়িয়াখানায় ইতিমধ্যে যে সমস্ত বন্যপ্রাণী রয়েছে তার মধ্যে কুমির, সজারুসহ ১০টি প্রাণীকে দত্তক নিয়েছেন ১০ জন। তবে বন বিভাগ চায়ছে আরও বেশি করে বন্যপ্রাণী দত্তক নেওয়া হোক। এক ব্যক্তির কথায়, তিনি একটি বাঘরোল দত্তক নিয়েছেন। এই প্রাণীই বর্তমানে বিলুপ্তির পথে। তাই তিনিও চাইছেন মানুষ সচেতনতার জন্য এগিয়ে আসুক। প্রসঙ্গত, গড়চুমুক চিড়িয়াখানা দু'বছর ধরে বন্ধ ছিল। প্রথমে সেটি মিনি জু ছিল। এরপর দুই বছর ধরে সংস্কারের ফলে সেটিকে মিডিয়াম জু’তে পরিণত করা হয়েছে। এছাড়া, এই পর্যটন কেন্দ্রের আরও উন্নতি করা হয়েছে। বড়দিন এবং নববর্ষের ফলে সেখানে প্রচুর পর্যটকদের ভিড় হবে বলে আশা করছে বন দফতর।