টিকিট কেটে এসি কোচে উঠেছিলেন যাত্রী। তেষ্টা পেতে জল চাইলেন কর্মীর কাছে। দেওয়া হল না জল। মর্মান্তিক কাণ্ড ভারতীয় রেলে।
ভারতীয় রেল সংক্রান্ত সমস্যার ভিডিয়ো প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। কিন্তু বর্তমানে একটি ভিডিয়ো ইন্টারনেটে ভাসছে যা অনেক প্রশ্ন সামনে আনছে। এই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, এক ব্যক্তি ট্রেনের বিক্রেতার কর্মীদের কাছে জল চাইছেন। কিন্তু বিক্রেতা সময় উল্লেখ করে তাঁকে জল দিতে অস্বীকার করে দিয়েছিলেন। এ বিষয়টি রেলের সামনে আনা হতেই বড় জবাব দিয়েছে রেল।
- আসলে কী দেখা গিয়েছে ভাইরাল ভিডিয়োতে
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, এসি কোচে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক যাত্রী। তিনি কর্মীদের কাছে জল চাইছেন। কিন্তু কেবিনের ভেতরে দাঁড়িয়ে থাকা কর্মচারী বিক্রেতা ঘড়ির দিকে ইশারা করেছিলেন। এর পর যাত্রী বলেছিলেন, কারও শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। এরপরও কর্মচারী বিক্রেতা জল দিতে অস্বীকার করেছিলেন। দ্বিতীয় ছবিতেও দুইজন জলের বোতল ধরে ছিলেন। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, জলের জন্য বিক্রেতার সঙ্গে তাঁকে অনেক লড়াই করতে হয়েছে। এরপর আরও এক বিক্রেতা তাঁর একটি বোতল নিয়ে এসেছিলেন।
অভিনব সিং নামে এক ব্যবহারকারী মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স-এ এই ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। তিনি বলেছিলেন যে তিনি এবং তাঁর সহ-যাত্রীরা জল চেয়েছিলেন, কিন্তু বিক্রেতা কর্মীরা তাঁদের কথাই শোনেননি। সবাইকে সত্যিটা দেখানোর জন্য এই ঘটনার ভিডিয়ো তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তাই। এর সঙ্গে তিনি লিখেছেন – ভারতীয় রেলে জলের জন্য সংগ্রাম সত্য। আমি একা ছিলাম না, আরও পাঁচ জনের জলের প্রয়োজন ছিল। আমি দরজা ভাঙতে যাচ্ছিলাম, তখন একজন একটি বোতল এনে আমাকে দিল। প্রচণ্ড খারাপ পরিষেবা!
ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন লিমিটেড-এর অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টকে ভিডিয়োটি ট্যাগ করে অভিনব এই সব কথা লিখেছেন। ২৮ এপ্রিল শেয়ার করা এই ভিডিয়োটি এখনও পর্যন্ত ৬১ হাজারের বেশি বার দেখা হয়েছে। নেটিজেনরা মন্তব্যে তাঁর সঙ্গে নিজেদের একই রকম অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন। এই ভিডিয়োটি কোন ট্রেন থেকে এসেছে সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এখন ভারতীয় রেলও এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। রেলওয়ে তার উত্তরে লিখেছে- স্যার, আপনার অভিজ্ঞতার জন্য আমরা দুঃখিত। আপনাকে পিএনআর এবং মোবাইল নম্বর শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে নেটিজেনরা বলছেন, এখনকার দিনে ভারতীয় রেলের অবস্থা করুণ, ট্রেনগুলি বিনা কারণে দেরিতে চলছে, শৌচাগারগুলি যে কোনও কিছুর মতো দুর্গন্ধযুক্ত এবং রেলের কর্মীরা স্বৈরশাসকের মতো আচরণ করছে। যাত্রীদের সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করছে।