ইউজিসির একগুচ্ছ প্রশ্নের মুখে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার প্রায় এক মাস পর মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে যায় ইউজিসির চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। সকালে তাঁরা প্রথমে হস্টেলে যান। তার পর কর্মসমিতির সদস্য ও গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানই কর্তৃপক্ষকে একগুচ্ছ প্রশ্ন করেন ইউজিসির প্রতিনিধিরা। সব প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি বসে ইউজিসি সূত্রে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে আবার ইসরোর কয়েকজন বিজ্ঞানী ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। তাঁরা ক্যাম্পাস চত্ত্বর এবং প্রবেশদ্বারগুলি ঘুরে দেখেন। পরে তারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি বৈঠকও করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকে আরও আঁটোসাঁটো করতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে।
এদিন ইউজিসির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির সদস্যদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, বৈঠকে কর্মসমিতির প্রতিনিধিদের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং-বিরোধী কমিটি থাকা আবশ্যক। থাকা সত্বেও কেন তা সক্রিয় নয় জানতে চাওয়া হয়। এছাড়া ইউজিসি প্রতিনিধিরা জানতে চায়, প্রথম বর্ষের ছাত্রদের আলাদা হস্টেলে কেন রাখা হতো না? প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য পৃথক হস্টেলের বন্দোবস্ত করা এ বছর সম্ভব কি না তা জানতে চায়। পড়ুয়াদের সবার বাড়ির সঙ্গে কথা বলা হত কিনা তাও জানতে চায় ইউজিসি প্রতিনিধিরা।
(পড়তে পারেন। আইন মেনে বেতন বন্ধ করতে পারলে করুন, মমতাকে চ্যালেঞ্জ যাদবপুরের উপাচার্যের)
এই সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কিছুদিন সময় চাওয়া। ইউজিসির তরফ সময় দেওয়া হয়েছে কি না তা জানা যায়নি। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার, যাদবপুরের সন্তুষ্ট নয় ইউজিসি। ছাত্র মৃত্যুর পর এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়কে তিনবার চিঠি দেয় ইউজিসি। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দেওয়া উত্তরে সন্তুষ্ট হতে পারেনি তারা। তাই এবার প্রতিনিধি এসে সরেজমিনে খতিয়ে দেখল সব কিছু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানিয়েছেন, ইউজিসি তাদের সুপারিশ পাঠাবে।