JU-কাণ্ডে প্রথম কাউকে হেফাজতে চেয়েও পেল না পুলিশ, জেল হেফাজতে গেলেন জয়দীপ ঘোষ

যাদবপুর কাণ্ডে প্রথম কাউকে পুলিশ হেফাজত থেকে জেল হেফাজতে পাঠাল আদালত। জয়দীপ ঘোষকে হেফাজতে চেয়েও পেল না পুলিশ।

ধৃত জয়দীপ ঘোষ। ফাইল ছবি

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলে প্রথম বর্ষের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় প্রথম কাউকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় ধৃত প্রাক্তন ছাত্র জয়দীপ ঘোষকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন আলিপুর আদালতের বিচারক। তাঁকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চাইলেও জয়দীপকে এদিন হেফাজতে পায়নি পুলিশ।

এদিন আদালতে জয়দীপ ঘোষের আইনজীবীর সঙ্গে সরাকরি আইনজীবীর উত্তপ্ত বাদানুবাদ হয়। সরাকরি আইনজীবী ধৃতকে ফের পুলিশ হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানান। বিরোধিতা করে জয়দীপের আইনজীবী বলেন, জয়দীপ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নন। তিনি হস্টেলে থাকেন না। ঘটনার রাতে খবর পেয়ে তিনি হস্টেলে গিয়েছিলেন মাত্র। তাঁকে নোটিশ পাঠিয়ে কেতুগ্রাম থেকে ডেকে এনেছে যাদবপুর থানা। তার পর তাঁকে থানার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। অ্যারেস্ট মেমোয় কোনও সাক্ষীর সই নেই। এই গ্রেফতারি বেআইনি। তাছাড়া তার কাছ থেকে আর কিছু জানার নেই পুলিশের। তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করার মতোও কিছু নেই। জয়দীপের পায়ে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাঁর বিশ্রামের প্রয়োজন। যে কোনও শর্তে তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। জয়দীপ একটি তরুণ ছেলে। তার কোনও অপরাধের ইতিহাস নেই। তার সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।

দুপক্ষের সওয়াল – জবাব শুনে বিচারক জয়দীপ ঘোষকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। যাদবপুর কাণ্ডে এই প্রথম কাউকে পুলিশ হেফাজত থেকে জেল হেফাজতে পাঠাল আদালত। গত ১৯ অগাস্ট যাদবপুরের প্রাক্তনী জয়দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি হস্টেলের আবাসিক নন। বিজয়গড়ে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি। পুলিশের অভিযোগ, ঘটনার রাতে পুলিশকে হস্টেলে ঢুকতে বাধা দিয়েছিলেন জয়দীপ। এমনকী হাসপাতালে আহত ছাত্রের মৃত্যুকালীন জবানবন্দি দিতে বাধা দেন পুলিশ কর্মীদের। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন তদন্তকারীরা।