আজ, শুক্রবার মেট্রোয় নতুন করে পোড়া গন্ধ ছড়িয়ে পড়ল। তার জেরে ছড়িয়ে পড়ল আতঙ্ক। হড়োহুড়ি করে নেমে গেলে মেট্রোর যাত্রীরা। তারপরই মেট্রো রেলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হল, ট্রেনে যাত্রিক ত্রুটি রয়েছে। তাই আর কালবিলম্ব না করে ট্রেনটি কারশেডে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় সপ্তাহে ব্যস্ত কাজের দিনে সমস্যায় পড়লেন নিত্যযাত্রীরা। এমনকী যথেষ্ট নাকাল হতে হল। এই ঘটনার পর যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ শুক্রবার সকালে যখন যাত্রীরা মেট্রো করে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছিলেন তখন সেই মেট্রো থেকে পোড়া গন্ধ সবার নাকে এসে পৌঁছয়। ব্যস, আতঙ্কের আর শেষ রইল না। দমদমমুখী ট্রেন প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতেই গোটা চত্ত্বর পোড়া গন্ধে ভরে যায়। কবি সুভাষ স্টেশনে এই ঘটনা ঘটতেই তোলপাড় কাণ্ড দেখা দেয়। আতঙ্কের জেরে যাত্রীরা নানা দিকে ছুটতে থাকেন। তড়তড় করে ট্রেন থেকে যাত্রীরা নামতে থাকলেন। প্রায়ই মেট্রোয় বিভ্রাটের জেরে নাকাল হতে হওয়ায় বিরক্তিও প্রকাশ করলেন যাত্রীরা। যাত্রীদের দাবি, এই ঘটনার মধ্যেই মাইকে ঘোষণা করা হয়, ট্রেনটি যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন। যাত্রীরা যেন ট্রেনটি খালি করে দেন। কারণ ট্রেনটিকে কারশেড নিয়ে যাওয়া হবে। যদিও মেট্রোর পক্ষ থেকে দাবি করা হয় এমন কিছুই ঘটেনি।
এদিকে ২০২৩ সালে কতবার পাতাল রেলে এমন ঘটনা ঘটল তা গুনে শেষ করা যাবে না। তাই এই ঘটনা যাত্রী নিরাপত্তা এবং স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। মেট্রো লাইনে আগুনের ফুলকি থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। তারপরও কেন উদ্যোগ নেওয়া হয় না? উঠছে প্রশ্ন। আর এইসব কারণে দুর্ভোগের শেষ থাকে না যাত্রীদের। গত ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণশ্বের থেকে নিউ গড়িয়গামী মেট্রোয় আগুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। কারণ রবীন্দ্র সদন স্টেশনে মেট্রোর রেক থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা গিয়েছিল। তখন মেট্রো থেকে যাত্রীদের বাইরে বের করে আনা হয়েছিল। আজ আবার যান্ত্রিক ত্রুটি।
আরও পড়ুন: আতঙ্কের নাম দুর্গাপিতুরি লেন, মেট্রো এলাকায় হঠাৎ ভেঙে পড়ল বাড়ির কার্নিশ
আর কী জানা যাচ্ছে? অন্যদিকে ট্রেন স্টেশনে আসার আগে পরীক্ষা করে দেখার কথা। তারপর সেটি প্ল্যাটফর্মে আসার কথা। সেখানে কোনও গলদ থেকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। আজ মেট্রো থেকে পোড়া গন্ধ বের হওয়ায় পাতাল–পথে আতঙ্ক তৈরি হয়। এখন শহর কলকাতা এবং অন্যান্য এলাকায় সম্প্রসারিত হচ্ছে মেট্রোর লাইন। সেখানে এমন ঘটনা ঘটতে থাকলে যাত্রীদের মধ্যে ভয় বাসা বেঁধে বসবে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আরও বাড়তে চলেছে মেট্রো রুট। কিন্তু মেট্রোর এই কাণ্ডকারখানায় পরিষেবা ও যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।