এখন শপিং কিংবা বিল পেমেন্টের ক্ষেত্রে অধিকাংশ মানুষ ইউপিআই ব্যবস্থা ব্যবহার করে থাকেন। আর একজন আর একজনকে টাকা পাঠানো ক্ষেত্রেও ব্যবহার করে চলেছে ‘ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস’ বা ইউপিআই। এটাই এখন টাকা পেমেন্ট করার সহজ মাধ্যম হয়েছে। মানুষ এখন ক্যাশ বা নগদ কম নিয়ে বের হন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইউপিআই ব্যবস্থা ব্যবহার করে টাকা মিটিয়ে দেন। এই পরিষেবা এখন খুব জনপ্রিয় ও সহজলভ্য হয়েছে। পরিস্থিতি এন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এবার কলকাতা পুলিশ ট্রাফিকের জরিমানাও এভাবে দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।
এদিকে এটা শুনতে অবাক লাগলেও শহরে ট্রাফিক আইন ভাঙলে এই ইউপিআই ব্যবস্থার মাধ্যমেই মেটানো যাবে স্পট ফাইনের টাকা। তাতে দুটি বিষয় একসঙ্গে ঘটবে। এক, এভাবে টাকা দিলে তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে নথি হিসাবে থাকছে। দুই, এই টাকা নিয়ে কোনও দুর্নীতি হবে না। লালবাজার সূত্রে খবর, কলকাতার প্রত্যেকটি ট্রাফিক গার্ড এলাকায় এই নিয়ে মহড়া চালু হয়ে গিয়েছে। তাতে সাফল্য এলে ট্রাফিক আইন না মানার জেরে জরিমানা আদায় করার ক্ষেত্রে পাকাপাকিভাবে ব্যবহার করা হবে ইউপিআই। এখানে আরও একটি বিষয় ঘটবে। সেটি হল–ট্রাফিক পুলিশকে আর টাকা বহন করতে হবে না। সরাসরি পৌঁছবে ট্রাফিক গার্ডে।
অন্যদিকে এই ব্যবস্থা করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির টাকা দিতেও সুবিধা হবে। লালবাজার ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে জানা যাচ্ছে, কলকাতা পুলিশের ২৫টি ট্রাফিক গার্ডের দু’জন করে সার্জেন্ট এখন পরীক্ষামূলকভাবে ইউপিআই ব্যবস্থার মাধ্যমে জরিমানা নিচ্ছেন। তার জন্য তাঁদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালে চারটি ট্রাফিক গার্ডের কয়েকজন সার্জেন্টকে লালবাজার ইউপিআই ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিল। যদিও পরে তা কার্যকর হয়নি। বহু মানুষের পক্ষ থেকে এই ব্যবস্থা করার দাবিও উঠেছিল। অবশেষে এই ব্যবস্থা নিয়ে আসা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কামারহাটিতে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে শুটআউট, মদনের বিধানসভা কেন্দ্রে গুলিবিদ্ধ
তাছাড়া ট্রাফিক সার্জেন্টরা ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে এনআইসি ই–চালান এবং কেটিপি ই–চালান ব্যবহার করেন। এই ই–চালানের ক্ষেত্রে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডে স্পট ফাইন দেওয়া যায়। কিন্তু তারপরও দাবি ছিল ইউপিআই পেমেন্টের। এবার সেটা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। এটা হলে ইউপিআই মাধ্যমে স্পট ফাইন আদায়ের কাজ সহজ হবে বলে মনে করছেন পুলিশ কর্তারা। কারণ এই ব্যবস্থায় স্পট ফাইন দিতে নগদের ব্যবহার কমবে। আর সহজে জরিমানার টাকা জমা করা যাবে। সুতরাং দুর্নীতির অভিযোগ উঠবে না বলেই আশা করছেন পুলিশ কর্তারা। এই ব্যবস্থায় টাকা আদায় হলে একটা তথ্য তৈরি হবে। সেটি হল—কতজন মানুষ মাসে ট্রাফিক আইনভঙ্গ করেন।