বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। আর তাই জনসংযোগ বাড়াতে এবার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসে প্রথম হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল খুললেন তাঁরা। আর এখান থেকেই বাংলার মানুষকে প্রতিনিয়ত প্রতিটি বিষয়ে বার্তা দেবেন মমতা–অভিষেক। অর্থাৎ বাংলার মানুষকে আপডেট রাখবেন। বিরোধী বিজেপি যাতে কুৎসা ছড়াতে না পারে তার জন্য আগাম এই পদক্ষেপ বলে সূত্রের খবর। এখন নতুন ফিচার এনেছে হোয়াটসঅ্যাপ। তাই যে কেউ খুলতে পারেন এই চ্যানেল। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল খুললেন মমতা–অভিষেকও।
এদিকে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল। এটি একমুখী ব্রডকাস্টিং চ্যানেল। চ্যানেলটি তৈরি করে সেখানে ছবি, ভিডিয়ো–সহ নানা বার্তা দেওয়া সম্ভব। আর তা থেকেই বাংলার মানুষ আপডেট থাকবেন। এখন প্রত্যেক হাতেই স্মার্টফোন পৌঁছে গিয়েছে। সুতরাং এই চ্যানেল ফলো করলেই তৃণমূল কংগ্রেসের যাবতীয় খবর মিলবে। ডিজিটাল মিডিয়ায় হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের মাধ্যমে সহজেই বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব। নামজাদা তারকা থেকে রাজনীতিবিদরা অনেকেই এই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল খুলেছেন।
অন্যদিকে জনসংযোগ করার জন্য এটা অত্যন্ত ভাল মাধ্যম। যাকে বলে মোক্ষম অস্ত্র। রাজনীতিবিদদের নানা বার্তা থেকে শুরু করে তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরতে পারবেন এখানে। যা নিয়ে তোলপাড় হতে পারে রাজ্য–রাজনীতি থেকে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দ। এবার সেখানে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শীর্ষ নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যুক্ত হলেন। দুয়ারে সরকার প্রকল্প থেকে শুরু করে ‘দিদিকে বলো’, ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’, ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি করে মানুষের কাছে আগেই পৌঁছেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এছাড়া ফেসবুক, এক্স হ্যান্ডল (টুইটার), ইনস্টাগ্রাম—এসব তো আছেই। এবার সেই জনসংযোগকে আরও নিবিড় করতেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলকেও ব্যবহার করবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: গোটা আফগানিস্তানকে নজরদারি ক্যামেরায় মুড়তে চায় তালিবান, গাঁটছড়া কাদের সঙ্গে?
আর কী জানা যাচ্ছে? একদিকে লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের পাখির চোখ। অন্যদিকে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচিতে মানুষকে যুক্ত করে তাতে বৃহত্তর আকার দেওয়াও লক্ষ্য। তাই হোয়াটসঅ্যাপ আপডেটস অপশনে গিয়ে ক্লিক করলেই চ্যানেল দেখা যাবে। এখানেই মিলবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা। আর দলের বার্তা দিয়ে থাকবেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। যাবতীয় তথ্য পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যম হিসাবে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলকে এখন অনেকেই বেছে নিয়েছেন।