আফগানিস্তানকে এবার কড়া নজরদারিতে আনতে চাইছে তালিবান শাসকগোষ্ঠী। আর তাই আফগানিস্তানের সমস্ত শহরকে নজরদারির আওতায় আনতে ক্যামেরা দিয়ে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চায় তারা। এই উদ্যোগের কারণ হিসেবে নিরাপত্তা জোরদার করার কথা জানিয়েছে তালিবান। আজ, সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স। তবে এই উদ্যোগের বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ ও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলি।
এদিকে আফগানিস্তান থেকে ২০২১ সালে সেনা প্রত্যাহারের আগে মার্কিন সেনারা এরকম একটি নজরদারির পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করেছিল। সেটাকেই এবার বাস্তবে রূপ দিতে চাইছে তালিবান। এই নিয়ে এখন বিশ্বজুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। আসলে তালিবান গোষ্ঠীকে কেউ বিশ্বাস করতে পারছেন না। তাই এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কিছু থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন রাজধানী কাবুলে হাজারের বেশি ভিডিয়ো ক্যামেরা বসানো আছে। যার সঙ্গে যুক্ত করা হবে অন্যান্য শহরের ক্যামেরাও। তাতে গোটা শহর নিরাপদ থাকবে বলে মনে করে তালিবান শাসকগোষ্ঠী। তালিবানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র এসব তথ্য জানিয়েছেন।
অন্যদিকে তালিবান প্রশাসন সূত্রে খবর, গোটা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা এবং জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) প্রতিরোধ করতেই এই বিষয়গুলিকে প্রাধান্য দিচ্ছে। তালিবানের মুখপাত্র জানান, তারা ইতিমধ্যে চিনের প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের সঙ্গে নজরদারি ক্যামেরার উপকরণ সরবরাহের বিষয়ে আলোচনা করেছে। এমনকী আমেরিকার সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। প্রত্যেকেই সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে অনেকে মনে করছেন, এই ধরনের বড় আকারের নজরদারি ব্যবস্থা চালুর ক্ষেত্রে আর্থিক সামর্থ্য নেই দরিদ্র আফগানিস্তানের। মানবাধিকার সংস্থাগুলির আশঙ্কা, এই ব্যবস্থা বিক্ষোভকারী এবং বিরোধীদের দমনে ব্যবহার হতে পারে।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠালেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য, কীসের দাবি?
যদিও মন্ত্রকের মুখপাত্র আবদুল মতিন কানি বলেন, ‘কাবুলের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ও অন্যান্য স্থানে ক্যামেরা বসানো হবে। এই উদ্যোগ নতুন নিরাপত্তা কৌশলের একটা অঙ্গ। যার বাস্তবায়নে চার বছর সময় লাগবে। এই মুহূর্তে আমরা কাবুলের নিরাপত্তা মানচিত্র তৈরি করছি। কাজটি করছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। আমাদের হাতে এখন দুটি মানচিত্র আছে। একটি আগের সরকারের জন্য তৈরি করেছিল আমেরিকা। দ্বিতীয়টি তৈরি করেছিল তুরস্ক।’ তবে ওয়াশিংটন তালিবানের সঙ্গে কোনও চুক্তি বা গাঁটছড়ায় যাচ্ছে না বলে আমেরিকার মুখপাত্র জানিয়ে দিয়েছেন। বরং তাঁরা তালিবানকে জানিয়েছেন, ‘দেশটিতে জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় যাতে না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’