মাত্র ৬ লক্ষ টাকা দিলেই সরকারি মেডিক্যাল কলেজে সরাসরি ভর্তি। টাকাও দিতে হবে ভর্তির পর। মঙ্গলবার সকালে একাধিক বহুল প্রচলিত দৈনিকে প্রকাশিত এহেন বিজ্ঞাপনের বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ওই সংস্থার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন খোদ স্বাস্থ্যসচিব। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর কমিশনারেট।
মঙ্গলবার সকালে খবরের কাগজের প্রথম পাতায় কেরিয়ার টপার্স নামে একটি সংস্থার ওই বিজ্ঞাপনে লেখা ছিল, NEET 2024. তার নিচে লেখা, ‘কোনও অগ্রিম টাকা ছাড়া পশ্চিমবঙ্গে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি গ্যারান্টিড’। তার নীচে লেখা, ‘৬ লাখ টাকা সরকারি কলেজে ভর্তির পর দিতে হবে। কলকাতা ও জেলা।’
তার নীচে লেখা, ‘NEET পরীক্ষায় ন্যূনতম ৩৬৬ নম্বর আবশ্যক। ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন ফি ১০০০০ টাকা’। একেবারে নীচে লেখা ‘কেরিয়ার টপার্স, আ যাদবপুর ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাস অ্যাকাডেমিক ইনিশিয়েটিভ’ সঙ্গে দেওয়া হয়েছে ২টি ফোন নম্বর।
এই বিজ্ঞাপন দেখে আঁতকে ওঠেন চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্তারা। কী ভাবে কেউ টাকার বিনিময়ে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির গ্যারান্টি দিয়ে বিজ্ঞাপন দিতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম ওই সংস্থার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়েই তৎপর হয়েছে পুলিশও। এই ধরণের বিজ্ঞাপন দেওয়ার সংস্থার মালিকের শাস্তি দাবি করেছেন চিকিৎসকরা।
ওদিকে সংস্থার মালিক সৌরীশ ঘোষ জানিয়েছেন, টাকার বিনিময়ে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির কথা বলা হয়নি। যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা NEET ৩৬৬ বা তার বেশি নম্বর পাবেন, তাদের মধ্যে উৎসাহীদের জন্য বিশেষ আবাসিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে সংস্থাটি। তাদের ১০ মাস প্রশিক্ষণ দেবে সংস্থা। থাকা খাওয়া সব খরচ সংস্থার। এর পর NEET পরীক্ষা দিয়ে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে যারা সরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সুযোগ পাবেন তারা ভর্তির পর সংস্থাকে ৬ লক্ষ টাকা দিতে বাধ্য থাকবেন। যারা সরকারি কলেজে সুযোগ পাবেন না তাদের কোনও টাকা দিতে হবে না। তবে বিজ্ঞাপনে যে এই বক্তব্য প্রতিফলিত হয়নি তা মেনে নিয়েছেন তিনি।