সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো শুরু হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর প্রায় ছসপ্তাহ পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও হস্টেলে বসছে ক্যামেরা। তবে এই উদ্যোগ যদি আগে নেওয়া হত তবে তাঁদের ছেলে হারাতে হতো না, এমনটাই বলছেন যাদবপুরে মৃত ছাত্রর বাবা-মা।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মৃত ছাত্রের বাবা বলেন, 'এটা প্রমাণিত সত্য যে হস্টেলে বিভিন্ন অনৈতিক কাজকর্ম হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি আগে সিসিটিভি বসাতো তাহলে জানতে পারত হস্টেলে কি ধরনের অনৈতিক কাজকর্ম হয়। আমার ছেলের সঙ্গে যে র্যাগিং হচ্ছে সেটাও হস্টেল কর্তৃপক্ষ আগেই জানতে পারতেন। তাহলে এভাবে আমাদের ছেলেকে মতে হতো না।'
তিনি বলেন,'তবু ভাল যে শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারলেন সিসিটিভির প্রয়োজনীয়তা। আমরা আমাদের সন্তানকে হারিয়েছি। তবে আর আর কাউকে এই ধরনের দুর্ভাগ্যজনক অবস্থার মধ্য দিয়ে আসতে হবে না। '
তিনি আরও বলেন, 'সিসিভিটি ক্যামেরা বসানোই শেষ কথা নয়। ক্যামেরাগুলির নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি।'ট
(পড়তে পারেন। টিএমসিপি–কে কাঠগড়ায় তুলে স্বেচ্ছাবসর চাইলেন যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ)
(পড়তে পারেন। RBU–তে জাত তুলে ফের শিক্ষাকর্মীকে মারধর, কর্তৃপক্ষ সক্রিয় হচ্ছে না বলে অভিযোগ)
তবে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ২৯ টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এই ক্যামেরাগুলি আর্টিফিশিয়াল টেকনোলজি (এআই) প্রযুক্তি রয়েছে। ১০টি জায়গায় এই ক্যামেরাগুলি বসানো হয়েছে।
যার মধ্যে একটি বসানো হয়েছে মেন হস্টেলের ঢোকার গেটে। যে গত ১০ আগস্ট ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা হয়।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢোকা এবং বেরোনোর গেটে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। প্রত্যেক গেটে দুটি করে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনও সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে।
তবে এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে ছাত্র ও শিক্ষকদের একাংশের প্রতিবাদের কারণে তা লাগানো যায়নি। তবে এবার ছাত্র মৃত্যুর কারণে সেভাবে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো নিয়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ হয়নি। তাই কর্তৃপক্ষ বিনা বাধায় সিসিটিভি ক্যামেরা বাসতে সক্ষম হয়েছেন।