তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে কাঠগড়ায় তুলে স্বেচ্ছাবসর চাইলেন যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায়। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে মানসিকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তার জেরে তিনি কলেজে ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না। তাঁকে অবৈধভাবে ছাত্র ভর্তির জন্য চাপ দিচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। ইতিমধ্যেই স্বেচ্ছাবসরের কথা জানিয়ে টিআইসিকে চিঠি পাঠিয়েছেন অধ্যক্ষ। পালটা এই অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। উল্লেখ্য, এর আগে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কেও চরম হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল।
আরও পড়ুন: নিগৃহীত হতে পারেন, আশঙ্কায় ক্যাম্পাসে যাওয়া বন্ধ করলেন রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য
অধ্যক্ষের অভিযোগ, তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের আতঙ্কে ভয়ে কলেজে যেতে পারছেন না, বাড়িতেই রয়েছেন। তাঁর আরও অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে বেআইনিভাবে ভর্তির তালিকা তাঁকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, সেই তালিকা তিনি গ্রহণ করেননি। সেই কারণে তাঁর উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। তাঁকে নানা ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছিল। তারপর থেকে তিনি আতঙ্কে রয়েছেন। তার জন্য তিনি কলেজে যেতে পারছেন না। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মেধা তালিকা অনুযায়ী ভর্তি হবে। এর আগে পাশ ফেল নিয়ে তাঁর ওপর জলের পাউচ ছুড়ে ফেলা হয়েছিল বলে তাঁর অভিযোগ। এ বিষয়ে তিনি শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশ্যে হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন।
যদিও তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের বক্তব্য, অধ্যক্ষ একজন বিজেপির মুখপাত্রের মতো কাজ করছেন। তিনি অধ্যক্ষ হিসেবে বললে অবশ্যই বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্ব। একইসঙ্গে ছাত্র পরিষদের কোনও গাফিলতি রয়েছে কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন ছাত্র পরিষদ নেতৃত্ব। পালটা তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের তরফে অধ্যক্ষের উদ্দেশ্যে কলেজের জন্য কাজ করার অনুরোধ করা হয়েছে।
তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালিমালিপ্ত করতে চাইছেন। এমনকী তাদের অনুমান, বিজেপির তরফে অধ্যক্ষকে বিধানসভা বা লোকসভার টিকিট দেওয়া হতে পারে। সেই কারণে তিনি এরকম অভিযোগ করেছেন। তৃণমূলের অভিযোগ, অধ্যক্ষ কলেজে আসেন না, কলেজকে সময় দেন না। ছাত্রছাত্রীদের প্রচুর অভিযোগ থাকে, অনেক সমস্যা রয়েছে কলেজের। সেগুলির সমাধান নিয়ে ভূমিকা পালন করেন না অধ্যক্ষ।