রিমো সাহা। কলকাতার তরুণ ইতিহাস গড়লেন এবার। সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকায় উত্তাল সমুদ্রে সাঁতার কেটেছেন তিনি। চারপাশে হিংস্র জলজ প্রাণী। প্রচন্ড ঠান্ডা জল। তার মধ্য়েই তিনি সাঁতার কেটেছেন। তবে শুধু সাঁতার কেটেছেন সেটাই নয়। তিনি সফলও হয়েছেন। এর জেরে গর্বিত গোটা দেশ। অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতে তিনি এই সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি ভারতীয়। তিনি বাঙালি।
প্রথম ভারতীয় প্য়ারা সাঁতারু হিসাবে ইতিহাস তৈরি করলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকায় রবেন দ্বীপপুঞ্জ পেরিয়ে যান তিনি। উত্তাল সমুদ্রে সাঁতার কেটেছেন তিনি। একদিকে ঠান্ডা জল, তার উপর উত্তাল সমুদ্র। চারপাশে হিংস্র জলজ প্রাণী। সেই সমুদ্রে সাঁতার কাটেন তিনি।
বহু দিনের অনুশীলন। অনেকের সাপোর্ট। কঠিন পরিশ্রম। শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছেন রিমো। তিনি জানিয়েছেন, এই দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নেলসন ম্যান্ডেলার নাম। আমিই প্রথম ভারতীয় ও বাংলার প্যারা সুইমার রবেন আইল্য়ান্ডের কাছে সাঁতার কাটলাম।
তিনি জানিয়েছেন, জলের তাপমাত্রা ছিল ১২-১৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। জলে জেলিফিস, নীল তিমি, সানফিস রয়েছে। সেখানে সাঁতার কাটতে হয়েছে। সবথেকে বড় ভয় ছিল যে তাদের সামনে পড়ে গেলে আহত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তাছাড়া এই ঠান্ডা জলে সাঁতার কাটতে গেলে হাইপোথারমিয়া হওয়ার সম্ভাবনাও ছিল। সাঁতার কাটার সময় এই ব্যাপারটা মাথায় ছিল। তবে এই সুযোগটা মিস করতে চাইনি। আমার পরিবার, আমার কোচ, আমার পর্যবেক্ষক আমার ক্য়াপ্টেনের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তাঁদের জন্য়ই আমি সাঁতার সফল করে ফিরে আসতে পেরেছি কলকাতায়।
শ্রাচি গ্রুপের এমডি রাহুল টোডির প্রতিও তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। শ্রাচির এমডি রাহুল টোডি জানিয়েছেন, ভারতীয় স্পোর্টসে তিনি ইতিহাস তৈরি করেছেন। প্রতি ভারতীয় আজ গর্বিত। একদিকে উত্তাল সমুদ্র, প্রচন্ড ঠান্ডা জল। তার মধ্য়ে কঠিন লড়াই চালিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছেন তিনি। রিমোর ধৈর্য্য, তাঁর কঠিন অনুশীলন তাঁকে সব বাধা পেরিয়ে যেতে সহায়তা করেছে। শ্রাচি সবদিক থেকে তাঁর পাশে রয়েছে। আমরা তাঁকে সবরকমভাবে সহায়তা করছি।