রেশন দুর্নীতি মামলায় এবার বড় আপডেট। রাজ্যের কাছে কেস ডায়েরি তলব করল আদালত। সেই সঙ্গেই কলকাতা হাইকোর্ট রেশন দুর্নীতি মামলায় পুলিশের তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে। আগামী ৫ মার্চ পর্যন্ত রেশন দুর্নীতি মামলায় পুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশ জারি করা থাকবে।
বিচারপতির জয় সেনগুপ্ত এই স্থগিতাদেশ জারি করেছেন। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে বালিগঞ্জ থানায় রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। সেই তদন্ত যদি পুলিশ এখনও চালিয়ে নিয়ে যায় তবে তা স্থগিত করার জন্য় নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিকে এর আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছিল, রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত ৬টি এফআইআর করা ছিল। কিন্তু তা নিয়ে রাজ্য পুলিশ কার্যত হাত গুটিয়ে বসেছিল। এমনকী কিছু ক্ষেত্রে তথ্য় প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও রাজ্য পুলিশ চুপ করে বসেছিল। এদিকে হাইকোর্টের কাছে ইডি অনুরোধ করেছিল রেশন সংক্রান্ত যে সমস্ত মামলা রাজ্য পুলিশের হাতে রয়েছে তা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হোক।
এদিকে ২০১৬-২০২৩ সালের মধ্য়ে পুলিশের কাছে রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। কিন্তু পুলিশ একেবারে চুপ করে বসেছিল বলে ইডির দাবি। ইডির দাবি, রাজ্য়ের তরফে একতরফা ভাবে তদন্ত করা হয়েছে। রেশন ও ধান কেনার ক্ষেত্রে কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জড়িত ছিলেন। মন্ত্রী জড়িত ছিলেন। কিন্তু উপযুক্ত নথি ও তথ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও একেবারে চুপ করে বসেছিল পুলিশ। কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।
কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে মামলা যাওয়ার পরেই একের পর এক গ্রেফতার হন অভিযুক্তরা। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককেও গ্রেফতার করা হয়। তার আগে তার ঘনিষ্ঠ চালকল মালিক বাকিবুর রহমানকেও গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে রেশন কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূলের একাধিক নেতা রয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে। সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানকেও খোঁজা হচ্ছে।
তবে এসবের মধ্য়েই এবার রাজ্য পুলিশের হাতে থাকা রেশন সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলা কোনও যদি তদন্ত চালানো হয় তবে তাতে স্থগিতাদেশ দিল আদালত।