প্রায়ই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। অনেক ক্ষেত্রেই রোগী মৃত্যুতে গুরুতর গাফিলতির অভিযোগ ওঠে চিকিৎসক এবং হাসপাতালের বিরুদ্ধে। সে ক্ষেত্রে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছে অভিযোগ জানিয়ে থাকে রোগী পরিবার। মেডিক্যাল কাউন্সিলের সূত্রে জানা গিয়েছে, গত একবছরে ৮২ টি চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ জমা পড়েছে। তার ভিত্তিতে ৩ জন ডাক্তারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ১৫ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগের ভিত্তিতে চার্জশিট গঠন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:সন্তান প্রসবের পর মহিলার মৃত্যু, নার্সিংহোমকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
জানা গিয়েছে, গত বছরের নভেম্বরে গঠিত হয়েছিল মেডিক্যাল কাউন্সিলের নতুন বোর্ড। গাফিলতির অভিযোগের বিচারের কাজ শুরু হয় ফেব্রুয়ারি থেকে। যে ৩ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে রোগী মৃত্যুর মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে ওই ৩ চিকিৎসকের মধ্যে দুজনের এক বছরের জন্য এবং একজনের ছয় মাসের জন্য ডাক্তারি প্র্যাকটিসে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে ওই ৩ চিকিৎসক হুগলি, বর্ধমান এবং কলকাতার ডাক্তার।
কাউন্সিল সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত চিকিৎসকদের মধ্যে একজন অ্যালোপ্যাথিক ডাক্তার নিজেকে বেআইনিভাবে একটি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের ডাক্তার বলে নিজেকে দাবি করেছেন। তিনি নিজের প্যাডে ওই হাসপাতালের নাম লিখতেন। তাঁর চিকিৎসাধীন থাকা এক রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। রোগীর পরিবার কাউন্সিলের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এরপর ওই চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন এক বছরের জন্য বাতিল করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, দুজন ডাক্তার মেডিক্যাল কাউন্সিলর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
অন্যদিকে, আরও যে ১৫ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন হয়েছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাদের বক্তব্য মেডিক্যাল কাউন্সিল শুনবে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল সূত্রে জানা গিয়েছে, আরও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের গাফিলতি পাওয়া গিয়েছে। তাদের সতর্ক করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মেডিক্যাল কাউন্সিলের কর্তারা স্বীকার করে নিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত অনেক মামলা জমে রয়েছে কাউন্সিলে। সেগুলি যতটা সম্ভব দ্রুত নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই কাউন্সিলের কর্তারা জানিয়েছেন।