শুভব্রত মুখার্জি:- ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগ অর্থাৎ আইপিএলের শেষ মরুশুমে বেশ ভালো পারফরম্যান্স করেছিলেন জিতেশ শর্মা। পঞ্জাব কিংসের হয়ে ভালো খেলার সুবাদে ভারতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন জিতেশ শর্মা। ওডিআই বিশ্বকাপের পরেই ঘরের মাঠে টি-২০ সিরিজে অজিদের মুখোমুখি হয়েছে ভারতীয় দল। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ভারতীয় দল ইতিমধ্যেই এগিয়ে রয়েছে ৩-১ ফলে। অর্থাৎ সিরিজ জিতে নিয়েছে ভারতীয় দল। চতুর্থ টি-২০ ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি ভারতের সিরিজ জয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন জিতেশ শর্মা। আর ম্যাচ জয়ের পরে তাঁর সোজাসাপ্টা বক্তব্য দলের হয়ে পারফরম্যান্স করতে আমি মুখিয়ে ছিলাম।
রায়পুরে চতুর্থ ম্যাচে জিতেশ শর্মা এবং রিঙ্কু সিংয়ের মধ্যে পার্টনারশিপ ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয়। দুই ব্যাটারের পার্টনারশিপ ভারতের হয়ে একটি লড়াকু স্কোর গড়তে সাহায্য করে। যার উপর ভিত্তি করেই ভারতীয় দল পরবর্তীতে ম্যাচ জিতে নেয়। ম্যাচ জয়ের পরে দলে সুযোগ পাওয়া নিয়ে জিওসিনেমায় এক সাক্ষাৎকারে জিতেশ শর্মা জানান, ‘এই সুযোগ পেয়ে আমি খুবই উত্তেজিত। আমি এই সুযোগ পেতে মুখিয়ে ছিলাম। ভারতের হয়ে খেলা, ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়া সবসময়ে একটা আলাদা চাপ থাকেই। পাশাপাশি একটা আলাদা উত্তেজনা থাকেই। আমি এই সিরিজে দলের হয়ে ভালো পারফরম্যান্স করতে মুখিয়ে ছিলাম।’
জিতেশ শর্মা এবং রিঙ্কু সিং জুটিতে ৫৬ রান করেন। যার উপর ভর করে ভারতীয় দল ১৭৪ রান করতে সমর্থ হয়। তাদের জুটির আক্রমণাত্মক খেলা নিয়ে জিতেশ জানান, ‘রিঙ্কুর সঙ্গে ওই পার্টনারশিপ চলাকালীন খুব বেশি কথা বলা হয়নি। ভিভিএস (লক্ষ্মণ) স্যার আমাদেরকে সবসময় নিজের খেলার প্রতি আস্থা রাখতে বলেন। নিজের খেলার প্রতি বিশ্বাস রাখতে বলেন। আমি পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করি। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি। রিঙ্কুর সঙ্গে কথা বলার পরে আমি অফ স্পিনারকে আক্রমণ করে খেলার সিদ্ধান্ত নিই। রিঙ্কু লেগ স্পিনার বা বাঁহাতি স্পিনারকে আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। আমি যখন অনুশীলন করি তখন ম্যাচে চাপের কথা মাথায় রেখেই অনুশীলন করি। আমি ওয়ার্ম আপ বল খেলাতে বিশ্বাসী না। আমি ২০ বল খেলব এবং সেই মত রান করার চেষ্টা করব। এমন মানসিকতা নিয়েই খেলি। এরপর আমি নানা শরীরচর্চার ড্রিল করে থাকি।’