আশঙ্কা ছিলই। শেষমেশ সেই আশঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত হয়। ভারতীয়-এ দলের বিরুদ্ধে হার বাঁচাতে ব্যর্থ হয় ইংল্যান্ড লায়ন্স দল। বরং বলা ভালো যে, আমদাবাদে ইনিংস হারের লজ্জা এড়াতে পারেনি ব্রিটিশ দল। এক্ষেত্রে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড লায়ন্সের ব্যাটিং বর্থতাই ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৩৩৭ রানের বড় ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড লায়ন্স। তারা তৃতীয় দিনের শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ৩০৪ রান তোলে। অর্থাৎ, শেষ দিনে ইনিংস হার এড়াতে ৩৩ রান দরকার ছিল ইংল্যান্ড লায়ন্সের। শেষ দুই উইকেট হাতে নিয়ে সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে ব্যর্থ হয় তারা।
চতুর্থ তথা শেষ দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে ইংল্যান্ড লায়ন্স তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয় ৩২১ রানে। অর্থাৎ, এক ইনিংস ও ১৬ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ হেরে বসে তারা। ওলি রবিনসন ৮৫ রান করে আউট হন। ১০৮ বলের ইনিংসে তিনি ১২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ কুমার ১০৪ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট দখল করেন। ভারতীয়-এ দলের হয়ে ১৮টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১৬০ বলে ১৬১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলার সুবাদে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন সরফরাজ খান।
ভারতীয়-এ দল বনাম ইংল্যান্ড লায়ন্স দ্বিতীয় বেসরকারি টেস্টের গতিপ্রকৃতি:-
ইংল্যান্ড লায়ন্স প্রথম ইনিংসে ১৫২ রানে অল-আউট হয়। তারা ৫২.৪ ওভার ব্যাট করে। অলিভার প্রাইস ৪৮ রান করেন। ৩১ রান করেন ব্রাইডন কার্স। আকাশ দীপ ৪টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন যশ দয়াল ও ওয়াশিংটন সুন্দর।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ভারতীয়-এ দল তাদের প্রথম ইনিংসে ৪৮৯ রান তোলে। তারা ১১১.১ ওভার ব্যাট করে। সরফরাজ খান ১৬১ ও দেবদূত পাডিক্কাল ১০৫ রান করেন। অভিমন্যু ঈশ্বরন ৫৮, ওয়াশিংটন সুন্দর ৫৭ ও সৌরভ কুমার ৭৭ রানের যোগদান রাখেন। ম্যাথিউ পটস ৬টি উইকেট দখল করেন। ৩টি উইকেট নেন ব্রাইডন কার্স।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৩৩৭ রানে পিছিয়ে থেকে ইংল্যান্ড লায়ন্স দল তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে। তারা দ্বিতীয় ইনিংসে ৯০.২ ওভারে ৩২১ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ওলি রবিনসন ৮৫, জোশ বোহানন ৪৮ ও ব্রাইডন কার্স ৩৮ রান করেন। সৌরভ কুমার ৫টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট দখল করেন আকাশ দীপ ও আর্শদীপ সিং।