প্রথম দফার ভোট হল শুক্রবার। তারপর রাত ৯টা বেজে ৩৩ মিনিটে এক্স হ্যান্ডেলে লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মোদী লিখেছেন, ‘প্রথম দফার ভোট। বিরাট সাড়া পড়ল। এদিন যাঁরা ভোট দিলেন তাঁদের সকলকে ধন্য়বাদ। আজকের ভোটে বিরাট ফিডব্যাক মিলেছে। এটা খুব পরিস্কার যে গোটা দেশ থেকে রেকর্ড সংখ্য়ক বাসিন্দা এনডিএর পক্ষে ভোট দিয়েছেন।’ লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সার্বিকভাবে যাঁরা ভোট দিয়েছেন তাঁদেরকে শুভেচ্ছা, ধন্য়বাদ জানিয়েছেন তিনি।
অন্য়দিকে এবার দেখে নেওয়া যাক বাংলার কেন্দ্রগুলিতে কোথায় কত ভোট পড়ল?
সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে সব মিলিয়ে ভোট পড়েছে ৭৭.৫ শতাংশ।
কোচবিহারে ভোট পড়েছে ৭৭.৭ শতাংশ।
জলপাইগুড়িতে ভোট পড়েছে ৭৯.৩ শতাংশ।
আলিপুরদুয়ারে ভোট পড়েছে ৭৫.৫ শতাংশ।
এদিকে বিক্ষিপ্ত কিছু হিংসার ঘটনা এদিন হয়েছে বাংলায়। মূলত জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে এদিন বিক্ষিপ্ত কিছু হিংসার ঘটনা হয়। তবে মোটের উপর রাত পর্যন্ত ভোট হিংসায় মৃত্যু কোনও ঘটনা হয়নি।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস পিস রুমে থেকে ভোটের প্রতি নজর রাখেন। তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন পঞ্চায়েত ভোটের মতো অতটা হিংসা হয়নি এবারের ভোটে।
এদিকে সূত্রের খবর, ভোট শেষে এদিন রাতে বিক্ষিপ্তভাবে হিংসা ছড়ায় শীতলকুচিতে। সেখানে বোমাবাজি করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। অন্য়দিকে দিনহাটার গীতালদহে দুই গোষ্ঠীর মধ্য়ে হাতাহাতি হয়েছে বলে অভিযোগ।
তবে শুক্রবার সকাল থেকেই দেখা যায় উত্তরের তিন কেন্দ্রে ভোটাররা দলে দলে ভোট দিতে বের হন। কিছুক্ষেত্রে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ওঠে। তবে এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় দুষ্কৃতীরা সেভাবে সক্রিয় হতে পারেনি। বিভিন্ন জায়গায় দলে দলে ভোটাররা ভোট দিতে বের হন। বহু জায়গাতেই উৎসবের মেজাজে ভোটদান প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
এদিকে মাও ঘাঁটি বলে পরিচিত বস্তারে এবার ভোটের নিরাপত্তায় ব্যপক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। অন্তত ৬০,০০০ বাহিনী ছিল। তার মধ্য়ে অর্ধেকই হল কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী।
এবার হিসেবটা দেখলে দেখা যাবে, বস্তারে সব মিলিয়ে ভোটার ১৪.৭২,২০৭ জন। তার মধ্য়ে মহিলা ভোটার ৭,৭১,৬৭৯জন। পুরুষ ভোটার ৭,০০,৪৭৬জন। ৫২জন রূপান্তরকামী ভোটার ছিলেন। এদিকে ২০০৬ সালের অক্টোবর মাসে প্রথমবার বস্তারে মাও উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছিল। এরপর থেকে অন্তত তিনটি লোকসভা ভোট হয়েছিল।
তবে এবারের ভোটে যেন কার্যত কোমর বেঁধে নেমেছিল বাহিনী। এবার ভোট ঘোষণার পর থেকে অন্তত ৬২জন মাওবাদীকে নিকেশ করে বাহিনী। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রীনা বাবাসাহেব কাঙ্গালে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে ১৯৬১টি পোলিং বুথ রয়েছে। তার মধ্য়ে ৬১টি বুথকে সংবেদনশীল বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। ১৫৬টি পোলিং পার্টিকে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে নামানো হয়েছিল।