পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছেন রাজভবনেরই এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজভবনের পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এহেন গুরুতর অভিযোগ নিয়ে রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে লালবাজার।
আরও পড়ুন: ৩০ শতাংশ লোক মসজিদ ভাঙলে ৭০ শতাংশ লোক চুপ করে বসে থাকবে না, বললেন তৃণমূল বিধায়ক
পড়তে থাকুন: সন্দেশখালি তদন্ত রিপোর্ট জমা দিল CBI, রাজ্যকে সম্পূর্ণ সহযোগিতার নির্দেশ আদালতের
দফতরে ডেকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ
কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলা যে অভিযোগ করেছেন তা অনুসারে, ২০১৯ সাল থেকে রাজভবনের অস্থায়ী কর্মী হিসাবে কাজ করছেন ওই মহিলা। জেলার বাসিন্দা ওই মহিলা থাকতেন রাজভবনের কর্মীদের হস্টেলে। সম্প্রতি তাঁকে একটি বিশেষ কাজের দায়িত্ব দেন রাজ্যপাল। গত ১৯ এপ্রিল তাঁকে বায়ো ডেটা নিয়ে রাজভবনে নিজের দফতরে দেখা করতে বলেন সিভি আনন্দ বোস। ২৪ এপ্রিল বেলা সওয়া বারোটা নাগাদ বায়ো ডেটা নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন ওই মহিলা। সেখানে রাজ্যপাল তাঁকে বলেন, তাঁর অস্থায়ী চাকরি স্থায়ী হয়ে যাবে। মহিলাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের ব্যবস্থা করবেন তিনি। একথা বলে রাজ্যপাল মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন বলে অভিযোগ। তাঁকে কুপ্রস্তাব দেন ও শ্লীলতাহানি করেন। এই ঘটনার পর রাজ্যপালের দফতর ছেড়ে বেরিয়ে যান মহিলা। কাউকে এব্যাপারে কোনও কথা বলেননি তিনি।
মহিলার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার তাঁকে আবার নিজের দফতরে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল। কিন্তু পূর্ব অভিজ্ঞতা ভালো না হওয়ায় এদিন দফতরের সুপারভাইজারকে নিয়ে রাজ্যপালের কাছে যান তিনি। দফতরে ঢুকতেই সুপারভাইজারকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন সিভি আনন্দ বোস। এর পর ফের তাঁকে কুপ্রস্তাব দেন রাজ্যপাল। তাঁর শ্লীলতাহানি করেন। দ্বিতীয়বার শ্লীলতাহানির মুখে পড়ে রাজভবন থেকে ছুটে বেরিয়ে আসেন মহিলা। সরাসরি চলে যান পুলিশ ফাঁড়িতে। এর পর তাঁকে হেয়ার স্ট্রিট থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
আরও পড়ুন: তৃণমূল ঘরে ঢুকে গেছে, ভোটের পর পিসি - ভাইপো মাছি মারার লোক পাবেন না: দিলীপ ঘোষ
মুখ খোলেনি রাজভবন
এই অভিযোগ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চরম শোরগোল শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যপালকে আক্রমণ করে বিবৃতি দিয়েছে তৃণমূল। তবে রাজভবনের তরফে এব্যাপারে এখনও কোনও বিবৃতি আসেনি।