৩০ বছর আগের ঘটনা। একদিন রাতারাতি নিজের পৈতৃক ভিটে ছেড়ে চলে আসতে হয়েছিল তাঁদের। বলা ভালো, ঘর ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল। তিন দশক পর সেই পৈতৃক ভিটেয় ফিরে গিয়ে আবেগতাড়িত অভিনেত্রী সন্দীপা ধর। সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরনো বাড়িতে ফিরে যাওয়ার আবেগঘন ভিডিয়ো পোস্ট করলেন সন্দীপা।
সন্দীপা কশ্মিরী পণ্ডিত পরিবারের মেয়ে। তাঁর কথায়, ৩০ বছর আগে, আমার পরিবারকে শ্রীনগর থেকে রাতারাতি পালাতে বাধ্য করা হয়েছিল। সব ছেড়ে মাত্র ১টা স্যুটকেসে প্যাক করে পালিয়ে গিয়েছিলাম। আর আজ ৩০ বছর পর আমরা আমাদের বাড়ির অবশিষ্টাংশে ফিরে এসেছি। খালি বাড়িটিই শুধু দাঁড়িয়ে রয়েছে। যা কিছু অবশিষ্ট আছে তা শুধুই স্মৃতি। যা আমরা প্রায় ৩ দশক আগে তৈরি করেছিলাম। আশাকরি এখন আর আমাদের পালিয়ে যেতে হবে না। আশাকরি আর কখনোই না পালাতে হবে না!'
ভিডিয়োতে নিজের পুরনো বাসস্থান ঘুরিয়ে দেখান অভিনেত্রী সন্দীপা ধর। এতবছর পর পুরনো বাড়িতে পা রাখতেই চোখে জল এসে যায় তাঁর। বাড়ির চারপাশ ঘেরা আপেল বাগান। পুরনো স্মৃতি হাতড়াতে হাতড়াতে ঘুরে বেড়ান সন্দীপা। বাড়ির সামনে লাগানো আপেল গাছ, সেখান থেকেই আপেল পেড়ে ওড়নায় মুছে সেটিতে কামড় দেন। তারপর উপরের তলায় গিয়ে জানলা দিয়ে মুখ বের করে 'ভাইয়া' ‘রিঙ্কু’ বলে হাঁক পারেন। ঠিক যেমনটা ৩০ বছর আগে করতেন।
শ্রীনগরের ডাল লেকে শিকারা করে ঘুরে বেড়াতেও দেখা যায় সন্দীপাকে। শিকারায় বসেই হ্রদের জলে চোখ রাখতে রাখতে, মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে করতে চায়েও চুমুক দেন সন্দীপা। এক শিকারা চালক তাঁকে হ্রদ থেকে পদ্মফুল তুলে উপহারও দেন। বলাভালো এতবছর পর নিজের জন্মস্থানে ফিরে শুধু স্মৃতির পাহাড়ে চড়েছেন সন্দীপা।
কাজের ক্ষেত্রে সন্দীপাকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল নেটফ্লিক্সের সিরিজ ‘মাই: এ মাদারস রেজ’, সিরিজের কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন সাক্ষী তানওয়ার। ইমতিয়াজ আলির সিরিজ ড: অরোরা: গুপ্ত রোগ বিশেষজ্ঞতেও দেখা গিয়েছিল সন্দীপাকে।