তাঁদের প্রেম নিয়ে চর্চার শেষ নেই! টলিপাড়ায় সম্প্রতি জোর গুঞ্জন ভরা পৌষেই নাকি গোপনে বিয়েটা সেরে ফেলেছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। কিন্তু কাঞ্চন মল্লিকের দ্বিতীয় বিয়ে তো এখনও আইনসিদ্ধ! পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছাদ আলাদা হলেও ডিভোর্স মামলা এখনও মেটেনি। তাহলে শ্রীময়ীর সঙ্গে বিয়ে!
বিয়ে বিতর্ক নিয়ে কড়া জবাব দিয়েছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। তবে এর মাঝেই নতুন সুখবর শোনালেন নায়িকা। কমলা ও শ্রীমাণ পৃথ্বীরাজ শেষ হওয়ার পর আবারও ছোটপর্দায় ফিরছেন শ্রীময়ী। সান বাংলার আসন্ন মেগা ‘আকাশ-কুসুম'-এ দেখা যাবে শ্রীময়ীকে। এই মেগায় লিড রোলে থাকছেন কথা চক্রবর্তী এবং সম্রাট মুখোপাধ্যায়। নতুন শুরুর কথা নিজেই ঘোষণা করলেন শ্রীময়ী।
ওদিকে কাঞ্চনের সঙ্গে ভরা পৌষে তাঁর বিয়ে নিয়ে এত চর্চা, সেই ব্যাপারে কী বলছেন অভিনেত্রী? রসিকতা করে শ্রীময়ী জানান, ‘লিখে দিন, অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছি। তাই কাঞ্চন বাধ্য হয়ে পৌষ মাসেই বিয়ে করলেন!’ আজকালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও যোগ করেন, তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে কোনওদিনই লুকোছাপা করেননি তিনি। তাহলে গোপনে বিয়ে কেন করবেন? পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাঞ্চনের আইনি বিচ্ছেদ হয়নি সে কথাও মনে করান শ্রীময়ী। মজার ছলে তাঁর সংযোজন, ‘কাঞ্চনদার কি হারেম আছে? যেখানে অনেক বৌ একসঙ্গে থাকে’।
শ্রীময়ীকে বিয়ে প্রসঙ্গে পালটা জবাব দিয়েছেন কাঞ্চনও। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। রাজনীতির ময়দানে এখন বেজায় ব্যস্ত তৃণমূলের বিধায়ক। তার মাঝেই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অহেতুক কাটাছেঁড়ায় বেশ বিরক্ত কাঞ্চন। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমাদের সন্তান যেন কোন হাসপাতালে ভূমিষ্ঠ হচ্ছে? পারলে সেটাও লিখে দেবেন।’ কাঞ্চন স্পষ্ট করেন তিনি এখন এইসব ফালতু রসিকতা নিয়ে মাথা ঘামাতে পারবেন না।
২৯শে জানুয়ারি থেকে সান বাংলায় শুরু হচ্ছে কথা। এই মেগায় নায়ক সম্রাটের পরিবারের অঙ্গ হিসাবেই থাকবেন শ্রীময়ী। প্রোমোয় দেখা মিলেছে তাঁর। শোনা যাচ্ছে, জলসায় গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের আসন্ন মেগাতেও নাকি থাকছেন শ্রীময়ী, সবমিলিয়ে আপতত কাজ নিয়ে বেজায় ব্যস্ত কাঞ্চন-শ্রীময়ী।
সম্প্রতি ইনস্টায় এক মহিলাকে চুুমু খাওয়ার ভিডিয়ো শেয়ার করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন শ্রীময়ী। অনেকেই তাঁকে সমকামী বলেও বিদ্রুপ করেন, কেউ টানেন কাঞ্চন প্রসঙ্গ। নীতি পুলিশরা তাঁকে ‘নির্লজ্জ’ তকমা দিয়ে এই ভিডিয়োকে অশ্লীল বলে ব্যাখা করেন। সেই বিতর্কের জবাবে শ্রীময়ী জানিয়েছিলেন, সম্পর্কে ওই কন্যে তাঁর ভাইঝি। এবং তাঁকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসেন তিনি। পিসি-ভাইঝির সেই ভালোবাসার ঝলক দেখে অবশ্য নীতিপুলিশরা কম নাক সিঁটকানি দেখাননি।