টলিউডে পুজোর বক্স অফিস দখলের লড়াই বরাবরের। তাই তো প্রতিবার একগুচ্ছ বাংলা ছবি রিলিজ করে পুজোর সময়। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। পুজোয় মুক্তি পেয়েছে দেবের বাঘা যতীন, কোয়েলের জঙ্গলে মিতিন মাসি, আবির-মিমির রক্তবীজ এবং প্রসেনজিৎ-অনির্বাণ-যিশু-জয়া অভিনীত দশম অবতার। আরও পড়ুন-দশম অবতারকে টেক্কা, পিছিয়ে বাঘা যতীন, ১৪ দিনে কত কোটি আয় করল মিমি-আবিরের ‘রক্তবীজ’?
স্টার পাওয়ারের দিক থেকে শুরুতেই খানিকটা এগিয়ে ছিল সৃজিতের দশম অবতার। অ্যাডভান্স বুকিংও ইঙ্গিত দিয়েছিল এই ছবি দেখার প্রতিই সবচেয়ে বেশি ঝোঁক দর্শকদের। মুক্তির দু-সপ্তাহ পরেও সেই ধারা অব্যাহত। জাতীয় প্লেক্সে (আইনক্স, পিভিআর এবং সিনোপলিস) কালেকশনের নিরিখেও দশম অবতারের আয়ের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।
বাঘাযতীন দ্বিতীয় সপ্তাহে ন্যাশন্যাল প্লেক্স থেকে মাত্র ১৮ লক্ষ টাকা আয় করেছে! যার জেরে এই ছবির ন্যাশন্যাল প্লেক্স কালেকশন দাঁড়িয়েছে মাত্র ১.৪১ কোটি টাকা। এই লিস্টে এক নম্বরে রয়েছে দশম অবতার। সৃজিতের ছবির আয় ২.৭৩ কোটি টাকা। যার মধ্যে দ্বিতীয় সপ্তাহে আয়ের পরিমাণ মোট ৪২ লক্ষ (জাতীয় স্তর মিলিয়ে) টাকা। আশ্চর্যজনকভাবে এই লিস্টে দ্বিতীয় সপ্তাহের অঙ্কে কিন্তু রক্তবীজ এগিয়ে রয়েছে দশম অবতারের থেকেও। জাতীয় প্লেক্স থেকে রক্তবীজের দু-সপ্তাহের কালেকশন ১.৭১ কোটি টাকা, যার মধ্যে দ্বিতীয় সপ্তাহে এসেছে ৪৭ লক্ষ (জাতীয় স্তর মিলিয়ে) টাকা।
পুজো রিলিজ ছবিগুলো মধ্যে একদম শেষে রয়েছে কোয়েল মল্লিকের জঙ্গলে মিতিন মাসি। মাল্টিপ্লেক্স থেকে এই ছবির আয় দু-সপ্তাহে মাত্র ৭০ লক্ষ টাকা।
sacnilk.com-এর তথ্যানুসারে দু-সপ্তাহে দশম অবতারের মোট আয় ৫.৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই সপ্তাহেই ৬ কোটির গণ্ডি ছুঁড়ে ফেলছে এসভিএফ। ১৪দিনে সারা দেশে রক্তবীজ মোট আয় করেছে ৪.৩৮ কোটি টাকা। ২ লক্ষ ২৬ হাজার দর্শক হলে এসে উপভোগ করেছে এই ছবি। উৎসবের মরসুমে বিরাট সংখ্যক দর্শক হলে টানতে সফল হয়েছেন শিবপ্রসাদ-নন্দিতা জুটি।
দেবর পিরিয়ড ড্রামা বাঘা যতীন দুর্ভাগ্যবশত তিন নম্বরেই আটকে গিয়েছে। sacnilk-এর রিপোর্ট বলছে দেবের ছবি দু-সপ্তাহে মাত্র ৩.৯ কোটি টাকা আয় করেছে। শুধু ন্যাশন্যাল প্লেক্সের বিচারেই নয়, সার্বিকভাবেও তৃতীয় বাঘা যতীন। এই ছবি পরিচালনা করেছেন অরুণ রায়। ছবিতে দেবের নায়িকা সৃজা দত্ত।
দিওয়ালিতে টাইগার ৩ সুনামি আসার আগে বাংলা ছবিগুলো আর কত লক্ষের ব্যবসা হাঁকাতে পারে সেদিকে নজর সকলের।