বয়স মাত্র ২৭, বি-টাউনে মধুচক্র চালানোর অপরাধে গ্রেফতার করা হল কাস্টিং ডিরেক্টর আরতি হরিশ্চন্দ্র মিত্তালকে। উঠতি মডেল, অভিনেত্রীদের দেহ ব্যবসার দিকে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আর এই গ্রেফতারির পর আরতির কাস্টিং ডিরেক্টর হিসাবে উত্থান কাহিনী নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকেই।
সংবাদ সংস্থা ANI- টুইট থেকে জানা যাচ্ছে, ‘মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ ইউনিট ১১, দিন্দোশি পুলিশ গোরেগাঁও এলাকায় চলমান একটি দেহব্যাবসা চালানোর র্যাকেট ফাঁস করে। এরপরই ঘটনাস্থল থেকে দুই মডেলকে এবং এই মামলায় বছর ৩০-এর কাস্টিং ডিরেক্টর আরতি মিত্তালকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের তরফেই এখবর সামনে আনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন-'শেষ পাতা'-র 'শৌনক' চরিত্রটি আমায় সম্বৃদ্ধ করেছে: বিক্রম
মুম্বই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তরা বিভিন্ন প্রজেক্ট চলাকালীন মডেলদেরকে টার্গেট করে পতিতাবৃত্তিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিতেন। যার জন্য ভাল অর্থের প্রস্তাব দেওয়া হত তাঁদের। আরতি হরিশ্চন্দ্র মিত্তাল একজন অভিনেতা এবং কাস্টিং ডিরেক্টর হিসেবেও কাজ করেছেন। ধৃত দুই মডেল জানিয়েছেন, আরতি তাঁদের প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। জানা যাচ্ছেে, দেহ ব্যবসার ওই র্যাকেটকে হাতে নাতে ধরতে মুম্বইয়ে গোরেগাঁও হোটেলে নকল খদ্দের পাঠিয়েছিল পুলিশ।
'মিড ডে'-কে এক পুলিশ আধিকারিক জানান, এই চক্র ধরতে পুলিশ আধিকারিক মনোজ সুতার আরতিকে ফোন করে বলেন, দুই বন্ধুর জন্য দুজন মডেল এসকর্ট লাগবে। এরপরই ৬০ হাজার টাকা দাবি করে আরতি মিত্তাল পুলিশ আধিকারিক সুতারের ফোনে দুই মডেলের ছবি পাঠান। ফোনে জানানো হয় ওই দুই মডেল জুহু বা গোরেগাঁও-এলাকার হোটেলগুলিতে আসবেন। পুলিশ আধিকারিক মনোজ সুতার গোরেগাঁওয়ে দুটি হোটেলের রুম বুক করে দুজন নকল গ্রাহক পাঠান। আরতি মিত্তাল দুই তরুণীকে নিয়ে এসেছিলেন এবং তাঁদের কন্ডোমও দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। লুকনো ক্যামেরায় সবটাই প্রমাণ সাপেক্ষে রেকর্ড করা হয়েছে বলে খবর।
জানা যায়, হিমাচল প্রদেশের সোলান জেলার মানব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেক MBA-করে মুম্বই পাড়ি দিয়েছিলেন আরতি মিত্তল। লক্ষ্য় ছিল অভিনেত্রী হওয়া। একসময় মডেল হিসাবে এবং বেশকিছু ধারাবাহিকে অভিনেত্রী হিসাবেও কাজ করেছেন আরতি। এরপরই কাস্টিং ডিরেক্টর হিসাবে কাজ শুরু করেন তিনি। কিছুদিন আগে আরতি জানিয়েছিলেন খুব শীঘ্রই তিনি মাধবনের সঙ্গে একটি ছবিতে অভিনয় করবেন। এদিনে বি-টাউনের অন্দরের খবর দেহ ব্যবসা চালি আরতি নাকি এখন ৭ কোটি টাকার মালিক।