টলিপাড়ায় দুই সংগঠনের ঝগড়া। আর তা নিয়েই বেশকিছুদিন ধরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। যার জেরে পুজোর আগেই টলিপড়ার কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তবে জল বেশি দূর গড়ানোর আগেই পরিস্থিতির সামাল দিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
টলিপাড়ার দুই সংগঠন ভেন্ডার্স গিল্ড আর ফেডারেশন অফি সিনেম টেকনিশিয়ান্সের মধ্যে ঝামেলার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও একাধিকবার এই দুই সংগঠনের বিবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। যার জেরে বহুবার শ্যুটিংয়ে ব্য়ঘাত ঘটেছে। তাই এই সংগঠনের ঝামেলার খবর শুনলেই ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখে টলিপাড়া।
প্রসঙ্গত, টলিপাড়ার এই দুই সংগঠনের একটির মাথায় রয়েছেন খোদ অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপ বিশ্বাস। সেই সংগঠনের নাম ফেডারেশন অফ সিনে টেকিশিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া। এটি সাধারণ সিনেমা ফেডারেশন নামেই পরিচিত। আর অন্যটি হল ভিডিয়ো অফ স্টেজ সাপ্লায়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বা ভেন্ডার্স গিল্প বলে পরিচিত।
ঠিক কী ঘটেছিল?
ভেন্ডার্স গিল্প সাধারণত টলিপাড়ায় উপকরণ সরবরাহ করে থাকে। অর্থাৎ প্রপস থেকে শুরু করে লাইট সহ অন্যান্য জিনিস। এই সংগঠনের অভিযোগ ছিল, ‘ফেডারেশন ও প্রডিউসাররা সাপ্লায়ার্সদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে অসহযোগিতা করছে। ফেডারেশনের কিছু সদস্য বেশকিছু সাপ্লায়ারদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।’ আর এরপরই ভেন্ডার্স গিল্ড জানিয়ে দেয়, 'এভাবে চলতে থাকলে হরতাল রাস্তায় পৌঁছাবে।' বলা হয়েছিল, ‘ফেডারেশন ও প্রযোজকদের সাপ্লায়ারদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’ তবে এরপরেও ফেডারেশ কোনও পদক্ষেপই করেনি। অবশেষে তাই সমস্যা মেটাতে এগিয়ে আসেন অরূপ বিশ্বাস। দুই সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গেই সু-সম্পর্ক রয়েছে তাঁর।
শুক্রবার তাই দুই সংগঠনকে নিয়ে বৈঠক করেন অরূপ বিশ্বাস। জানা যাচ্ছে, অরূপ বিশ্বাস সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দুই পক্ষকেই মিলেমিশে কাজ করতে হবে। কেউ কারোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রাখতে পারবে না। সেই সঙ্গে ভেন্ডার্স গিল্ডের যাঁদের উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল তা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আর তাতেই বরফ গলেছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের কথায় দুই পক্ষই সম্মতি দিয়েছে।