বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Scam 2003: তেলগির দুর্নীতির গল্প বলতে আসছে হনসলের স্ক্যাম ২০০৩, 'আরও এক মাস্টারপিস', কমেন্ট করিশ্মা-অহনাদের

Scam 2003: তেলগির দুর্নীতির গল্প বলতে আসছে হনসলের স্ক্যাম ২০০৩, 'আরও এক মাস্টারপিস', কমেন্ট করিশ্মা-অহনাদের

তেলগির দুর্নীতির গল্প বলতে আসছে হনসলের স্ক্যাম ২০০৩

Scam 2003-The Telgi Story: হনসল মেহতা আবারও একটি স্ক্যামের গল্প নিয়ে আসছেন। এবার আর অল্পস্বল্প নয়, একেবারে ৩০ হাজার কোটি টাকা তছরুপের গল্প! প্রকাশ্যে এল স্ক্যাম ২০০৩ এর প্রথম ঝলক।

'লাইফ মে আগে বড়না হ্যায় তো ডেয়ারিং তো করনা পরেগা না ডারলিং।' জীবনে কখনও কখনও দুঃসাহসিক পদক্ষেপ নিতে হয় ঠিকই, হয়ে উঠতে হয় অসীম সাহসী। কিন্তু তাই বলে নিজের স্বচ্ছন্দের জন্য, সাহস দেখাতে গিয়ে গুনে গুনে ৩০,০০০ কোটি টাকার তছরুপ করতে হবে! হ্যাঁ তেমনটাই করেছিলেন আব্দুল করিম তেলগি।

২০০৩ সালে ঘটে যাওয়া এই আর্থিক তছরুপের ঘটনা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এর আগে ১৯৯২ সালে হর্ষদ মেহতা ৫ হাজার কোটি টাকার স্ক্যাম করেন, কিন্তু ২০০৩ সালে তেলগির করা এই কাণ্ড সব কিছুকেই ছাপিয়ে যায় যেন। এ যেন দোষের শাস্তিস্বরূপ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় তাঁর। এবার সেই আর্থিক তছরুপের ঘটনাই ফুটে উঠবে পর্দায়।

‘১৯৯২ স্ক্যাম’ নির্মাতারাই এবার ‘স্ক্যাম ২০০৩’ নিয়ে আসছেন। ২ সেপ্টেম্বর সোনি লিভে মুক্তি পাবে স্ক্যাম ২০০৩- দ্য তেলগি স্টোরি। হনসল মেহতা এখানে আব্দুল করিম তেলগির কাণ্ডকারখানা তুলে ধরবেন। তিনি কীভাবে তাঁর গোটা কাজ চালাতেন কীভাবে এই দুর্নীতির শিখরে পৌঁছেছিলেন সবটাই তুলে ধরা হবে এখানে। সদ্যই মুক্তি পেয়েছে এই ছবির টিজার। সেখানে বলা হয় এই স্ক্যাম এতটাই বড় ছিল যে অঙ্কবিদদের দেশে ০ সংখ্যা কম পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু নাম ভূমিকায় কে অভিনয় করবেন সেটা এই টিজারে দেখা যায়নি। এটা রহস্যই রেখেছেন যে কে হবেন পর্দার তেলগি।

এই টিজার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই দর্শকদের মধ্যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। তাঁরা সেখানে নিজেদের মতামত জানিয়েছেন। বাদ যাননি বলিউডের তারকারা।

শ্রেয়া ধন্বন্তরি লেখেন, 'ব্যাপক'। করিশ্মা তন্না বঙ্গেরা বাহবার ইমোজি পোস্ট করেন। সঙ্গে ভালোবাসার চিহ্নও। অহনা কুমরা লেখেন, 'আর তর সইছে না।' তারকাদের মতো একই অবস্থা সাধারণ মানুষের। তাঁরা লেখেন, 'আবারও মেহতার মাস্টারপিস আসছে।' 'অপেক্ষায় রইলাম' মত আরেক ব্যক্তির।

কিন্তু কে ছিলেন এই আব্দুল করিম তেলগি? তাঁর বাবা ভারতীয় রেলের এক কর্মী ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর কিশোর তেলগি ফল আর সবজি বেচতেন। সেভাবেই তিনি ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে পড়তেন। পড়াশোনা শেষ করেই সৌদি আরবে চলে যান তিনি। এরপর ভারতে ফিরে আসেন ৭ বছর পর। তারপরই শুরু করেন তাঁর এই দুর্নীতির ব্যবসা। জাল পাসপোর্ট, নকল স্ট্যাম্প পেপার সবই বানাতেন তিনি। আর তাঁর এই কর্মকাণ্ডে যেমন বহু শ্রমিক যুক্ত ছিলেন তেমনই যুক্ত ছিল। বহু পুলিশকর্তারা। এরপর ২০০৬ সালে ৩০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয় তাঁর। পরে সেটা আরও ১৩ বছর বাড়ে। একই সঙ্গে ১০ বিলিয়ন টাকা জরিমানা হয় তাঁর। যা তাঁর সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে তোলা হয়েছিল।

বন্ধ করুন