সেরা কস্টিউম ডিজাইন উপস্থাপনের জন্য অস্কারের মঞ্চে ওঠার সময় গায়ে একটা সুতোও রাখলেন না জন সিনা। আপাতত যা সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বছর অস্কারের আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল চড়-কাণ্ড। আর এবার তা দাঁড়াল গিয়ে নগ্নতায়।
সেরা কস্টিউম পুরস্কার ঘোষণা করতে গিয়েই এ কাণ্ড করেছেন জন। ১১ মার্চ লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে চলা অস্কার পুরস্কার মঞ্চে জনকে ডেকে নিয়েছিলেন উপস্থাপক জিমি কিমেল। তখনই বিবস্ত্র অবস্থায় মঞ্চে আসেন জন। লজ্জা নিবারণের জন্য হাতে ছিল এক টুকরো কাগজ।
জন তাঁর প্রাইভেট পার্ট একটি বড় আকারের বিজয়ীর নাম থাকা খাম দিয়ে ঢেকে রেখেছিলেন এবং দর্শকদের প্রত্যেকের হতবাক প্রতিক্রিয়ার মাঝেই বলে ওঠেন, ‘পোশাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আছে!’
আরও পড়ুন: সেরা পরিচালক ক্রিস্টোফার নোলান! সেরা অভিনেত্রী এমা স্টোন, সেরা ছবি কি হল ওপেনহাইমার?
মনোনীতদের নাম পড়তে পড়তে আলো নিভে আসতেই কয়েকজন সহকারী তার জন্য একটি চমৎকার গাউন নিয়ে আসেন। যাই হোক, পুয়োর থিংস ছবির জন্য অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হল মার্টিন স্করসেসি-এর হাতে।
১৯৭৪ রবার্ট ওপেল নামে পরিচিত একজন ‘স্ট্রিকার’ একাডেমি অ্যাওয়ার্ডের মঞ্চজুড়ে শান্তির চিহ্ন ফ্ল্যাশ করার সময় এভাবেই দৌড়েছিলেন। সেটারই পুনরাবৃত্তি ঘটল ২০২৪ সাল এসে। মূলত কস্টিউমের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতেই এ কাণ্ডটি করেন জন সিনা।
এবার দেখার নগ্ন হওয়া নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া আসে জনের জন্য!
২০২৩-এ অস্কারের মঞ্চে চড় কাণ্ড:
গত বছর অস্কারের সঞ্চালনা করেছিলেন ক্রিস রক। তিনি উইল স্মিথের স্ত্রী জাডা পিংকেট স্মিথকে নিয়ে বেফাঁস একটি রসিকতা করে ফেলেন। সঞ্চালক বলেন, পরের ‘জি আই জেন’ ছবিতে অভিনয় করবেন জাডা। ১৯৯৭ সালের সেই ‘জি আই জেন’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ডেমি মুর। ছবিতে তাঁর মাথায় চুল ছিল না। ঘটনাচক্রে জাডার মাথাতেও চুল নেই। কিন্তু সেটি একটি অসুখের কারণে। যে অসুখের নাম অ্যালোপেসিয়া।
এর জেরেই বীভৎস রেগে যান উইল স্মিথ। মঞ্চে উঠে ক্রিসকে সজোরে এক চড় মারেন তিনি। করেন গালিগালাজ। পরে অবশ্য ক্ষমা চেয়েছিলেন। কিন্তু অস্কারের মতো মঞ্চে এমন ঘটনা হতবাক করেছিল গোটা বিনোদন জগতকে। সেরা অভিনেতার পুরস্কার জেতার পরও বেশ অস্তস্তিতে পড়তে হয়েছিল উইল স্মিথকে।