টলিপাড়ার মিষ্টি নায়িকা কোয়েল মল্লিক। রঞ্জিত কন্যাকে বড়ই ভালোবাসেন দর্শকেরা। সন্তান কবীরের জন্মের পর থেকে কাজ করা কমিয়ে দিয়েছেন। বেছে বেছে সিনেমা হাতে নেন। তাতে অবশ্য জনপ্রিয়তা কমে না একচুলও।
ব্যক্তিগত জীবনকে বরাবরই প্রচারের আলো থেকে দূরে রাখতে ভালোবাসেন কোয়েল। স্বামী-প্রোযোজক নিসপাল সিং বা একমাত্র ছেলেকে নিয়ে খুব একটা কথা বলেন না মিডিয়ার সামনে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কবীরের ছবিও দেন হাতেগোনা। কিন্তু কবীর তার তারকা মাম্মাকে বড় পর্দায় দেখে কী বলে? আরও পড়ুন: বউ হারানোর গপ্পো! পরিচালনায় ফিরলেন কিরণ রাও, প্রকাশ্যে লাপাতা লেডিজ-এর ট্রেলার
২০১৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিসপাল সিং রানেকে বিয়ে করেন কোয়েল। এরপর ২০২০ সালের বিবাহবার্ষিকীর দিনই ঘোষণা করেন মা হতে চলার খবর। তারপর ২০২০-র ৫ মে কোয়েল-নিসপালের কোল আলো করে আসে কবীর। আপাতত বয়স তার তিন। তবে জানালেন মা-কে বড় পর্দায় এখনও দেখেনি কবীর। কোয়েল চেষ্টা করেন ছেলেকে টিভি বা ভিডিয়ো দেখে দূরে রাখার। আরও পড়ুন: বাস্তবেও কি ‘খিটখিটে’ বর কার কাছে কই মনের কথার ‘পরাগ’ দ্রোণ? ফাঁস করল নিজের মুখে
টলি টাইমকে কোয়েল বলেন, ‘এখনকার সময়ে মানুষ নিজেদের মধ্যে গল্প-আড্ডা দিতে ভুলে যাচ্ছে। নিজেদের মধ্যে মজা করা ভুলে যাচ্ছে। সবাই এত টেক স্যাভি হয়ে যাচ্ছে। আমি যেহেতু নিজে এসব এতটা পছন্দ করি না তাই ওকে একটু দূরে রেখেছি। সব জিনিসেরই ভালো-খারাপ আছে। পরবর্তীতে যখন দরকার পড়়বে তখন অবশ্যই ও এগুলো দেখবে। তবে ব্যালেন্স রাখাটা দরকার। ছবি অবশ্যই দেখেছে। সংবাদপত্রে বা কোথাও যদি বের হয়। মাম্মা মাম্মা করতে থাকে।’ আরও পড়ুন: ‘বাহুবলী ২’র রেকর্ড ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল ‘গদর ২’! ‘পাঠান’ ছুঁতে পারবে সানির ছবি?
কাজের সূত্রে পুজোর সময় আসছে কোয়েলের ‘জঙ্গলে মিতিন মাসি’। যার শ্যুট হয়েছে সারান্ডার জঙ্গলে। পরিচালনায় অরিন্দম শীল। ২০১৯ সালে প্রথমবার অরিন্দম শীলের পরিচালনায় তৈরি হয়েছিল ‘মিতিন মাসি’। সেটাও মুক্তি পেয়েছিল পুজোতে। তারপর থেকেই অনুরাগীরা অপেক্ষায় ছিলেন পরের সিনেমাটির। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। সঙ্গে কালার্স বাংলার মহালয়ায় এবার দেবী দুর্গা হিসেবে দেখা মিলবে তাঁর ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র অনুষ্ঠানে।
চলতি বছরে মহানায়ক উত্তমকুমারের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর তরফে কোয়েলের হাতে তুলে দেওয়া হয় মহানায়ক সম্মান। এবছরের অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে এই সম্মানের ভাগিদার ছিলেন অঙ্কুশ হাজরা, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় ও শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়রা।