‘লাজে রাঙা হল কনে বউ গো….’। কিন্তু কনে বউটি কে? ইনি আর কেউ নন ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র ‘লাবণ্য’। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। ১৯ এপ্রিল, শুক্রবার, রাতুলের কনে বউ হয়েই ধরা দিলেন রূপাঞ্জনা। পরিণয় বন্ধ হল তাঁদের দীর্ঘদিনের প্রেম। রীতি মেনে, মন্ত্রচ্চারণ মালাবদল, শুভদৃষ্টি, সাতপাক, সিঁদুর দান সবই হল।
এদিনে রাতুলের দেওয়া সিঁদুরে সিঁথি ভরে ওঠে রূপাঞ্জনার। নীল লজ্জা বস্ত্রে ঢাকে নববধূর মুখ। ঠিক তখনই শোনা যায় শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনি। রূপাঞ্জনার সিঁদুরদানের মুহূর্ত লেন্সবন্দি হয়েছে ক্যামেরায়। দেখুন সেই মুহূর্ত।
১৯ এপ্রিল, শুক্রবার গোধূলি লগ্নে সাতপাকে বাঁধা পড়েন রাতুল-রূপাঞ্জনা। বিয়ের সাজে একে অপরের গলায় মালা পরালেন রাতুল-রূপাঞ্জনা। হ্যাঁ, তাঁদের মালাবদল সম্পন্ন হয়েছে। তারপর ছেলে রিয়ানকে সামনে রেখে সাতপাক, শুভদৃষ্টি, সিঁদুর দান সবই সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন-উলুধ্বনি হল, ছেলেকে সামনে রেখেই মালাবদল, শুভদৃষ্টি হল রাতুল-রূপাঞ্জনার
দীর্ঘ দিন ধরেই সম্পর্কে আছেন রাতুল এবং রূপাঞ্জনা। রাতুল অভিনেত্রীর থেকে ৬ বছরের ছোট। বর্তমানে রূপাঞ্জনা, রাতুল এবং অভিনেত্রীর ছেলে একসঙ্গেই থাকেন। দক্ষিণ কলকাতায় একটি ফ্ল্যাটও কিনেছেন তাঁরা। বহুদিন সম্পর্কের থাকার পর এদিন তাঁরা সাতপাকে বাঁধা পড়লেন। আর মায়ের বিয়ের সাক্ষী থাকল, তাঁর হৃদয়ের সবথেকে কাছের মানুষ, তাঁর ছেলে।
প্রসঙ্গত ১৭ বছর আগে ভালোবেসে রেজাউল হককে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র, সেটা ছিল ২০০৭ সাল। যদিও ভিনধর্মে সেই বিয়ে ছিল পরিবারের অমতেই। সেই দাম্পত্য সুখেরও হয়নি। ২০১৭ সালে দুজনের আইনি বিচ্ছেদ হয়। এরপর একা হাতেই ছেলেকে মানুষ করেছেন রূপাঞ্জনা। তাঁর কথায়, ‘অন্তঃসত্ত্বা অবস্থা থেকেই আমি একা’। এরপর দীর্ঘদিন সম্পর্কে থাকার পর শেষপর্যন্ত ৬ বছরের ছোট প্রেমিকের গলাতেই মালা দিলেন রূপাঞ্জনা।