ভারতীয় স্ট্রিট প্রিমিয়ার লিগে কলকাতা দলের মালিক সইফ আলি খান এবং করিনা কাপুর খান। তাঁদের দলের নাম ‘টাইগার্স অফ কলকাতা'। এই টিমের জন্য এক প্রেস কনফারেন্সে হাজির হয়েছিলেন সইফিনা। সেখানেই এক সাংবাদিক করিনাকে প্রশ্ন করেন, যদি সে ক্রিকেট খেলতে পারত!
সাংবাদিকের মুখে এই প্রশ্ন শুনে নরম সুরে সইফ জানান, ‘অবশ্যই, ও একজন পতৌদি’। মুখে হাসি নিয়ে করিনা জানিয়েছেন, খেলোয়াড় হিসেবে তিনি মোটেই ভালো নন। তবে বসে খেলা দেখতে পছন্দ করেন। তাই খেলায় হাত পাকাতে চান তিনি। আরও পড়ুন: ‘বাবাকে সেটে দেখেই…’, ওয়েব সিরিজে শাহরুখকে নির্দেশনা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন আরিয়ান
করিনা জানিয়েছেন, ‘না, তবে আমি চেষ্টা করছি। আমি ভালো খেলোয়াড় নই। বল মারতে পারিনা। কিন্তু খেলার আর দেখার মজাই আলাদা। তাই আমি নজর রাখি। আমি দর্শক। সইফ খেলোয়াড়’।
ম্যাচের ইভেন্টে টিমের জার্সি পরে দেখা মেলে দুই তারকার। সদ্য জামনগর থেকে ফিরেছেন বলিউজ সেলেবরা। এরপরই ক্রিকেটের মাঠে দেখা গেল অভিনয় আর ক্রিকেট জগতের তারকা ব্যক্তিত্বদের একসঙ্গে। মুম্বইতে ইন্ডিয়ান স্ট্রিট প্রিমিয়ার লিগের (আইএসপিএল) উদ্বোধনী দিনে রামচরণ, অক্ষয় কুমার, সুরিয়া এবং বোমান ইরানি একফ্রেমে ধরা দেন। তারকারা চার্টবাস্টার গান 'নাটু নাটু'-তে নেচেছেন। প্রবীণ অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন এবং তাঁর ছেলে অভিষেক বচ্চনও উপস্থিত ছিলেন।
প্রাক্তন কিংবদন্তি ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর, যিনি হোস্টিং দায়িত্ব পালন করছিলেন, তিনিও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। এ দিন সকালে রামচরণ আর সচিনের মাঠে থাকার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল হয়েছে।
সম্প্রতি ইন্ডিয়ান স্ট্রিট প্রিমিয়ার লিগ শুরু হয়েছে। থানেতে হচ্ছে ম্যাচ। এই ম্যাচে প্রথম ম্যাচটাতে মুখোমুখি হয়েছে মাস্টার একাদশ ও খিলাড়ি একাদশ। মাস্টার একাদশকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। আর অন্যদিকে খিলাড়ি একাদশ দল হচ্ছে অক্ষয় কুমারের। এ দিন কমেডিয়ান ও বিগ বগ জয়ী মুনাওয়ার ফারুকির বলে আউট হলেন সচিন তেন্ডুলকর। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল ক্রিকেট মহল। সচিনের আউটে স্টেডিয়াম পুরো স্তব্ধ হয়ে যায়। ক্রিকেটের ঈশ্বরকে আউট করে মুনাওয়ার আনন্দ লাফিয়ে ওঠেন।
শুরু হয়েছে ইন্ডিয়ান স্ট্রিট প্রিমিয়ার লিগ বা আইএসপিএল। মুম্বইয়ে হচ্ছে প্রথম বছরের প্রতিযোগিতা। মোট ১৯টি ম্যাচ হবে প্রতিযোগিতায়। খেলা হবে ১০ ওভারের। ক্রিকেটের পরিচিত ডিউস বলের পরিবর্তে খেলা হচ্ছে টেনিস বলে। ঠিক যেমন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তায়, মাঠে খেলা হয়ে থাকে। প্রথম বছরের প্রতিযোগিতায় রয়েছে ছ’টি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি। মুম্বই ছাড়াও হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, কলকাতা, চেন্নাই এবং শ্রীনগরের দল আছে।