প্রত্যেক বছরের মতো এবারও দুর্গাপুজোয় বক্স অফিসে মেগা টক্কর ছিল চারটি বাংলা ছবির। সেই লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। দেবের ‘বাঘা যতীন’, মিমি-আবিরের ‘রক্তবীজ’কে পিছনে ফেলে আয়ের নিরিখে এক নম্বরে রয়েছে সৃজিতের ‘দশম অবতার’।
প্রবীর-পোদ্দার জুটি বক্স অফিসে ৬ কোটির গণ্ডি পার করতে সফল হয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে শুধু আয় নয়, এই ছবি বাজেটও দেবের ‘বাঘা যতীন’ এবং আবির-মিমির ‘রক্তবীজ’-এর চেয়ে কম। টলিবাংলা বক্স অফিসের তথ্যানুসারে ৩ কোটি টাকা ব্যায়ে তৈরি হয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি। অর্থাৎ বাজেটের দ্বিগুণ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে এই ছবির। এই সাফল্যে কতটা খুশি সৃজিত। এই সময়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পরিচালক বলেন, ‘চারটে ছবির মধ্যেই সম্ভাবনা ছিল। শেষ পর্যন্ত তিনটে ছবি ভালো ফল করেছে। এবার প্রযোজনা সংস্থাগুলো শক্তিশালী ছিল।…এমন প্রতিযোগিতার মধ্যে বক্স অফিস লড়াই জেতাটা অত্যন্ত সন্তুষ্টির। ফাঁকা মাঠে গোল দিতে আমার ভালোলাগে না’।
এবার পুজোয় মুক্তি পাওয়া চারটি ছবির মধ্যে তিনটি ব্যবসা সফল জানান সৃজিত। তার মধ্যে দশম অবতার এক নম্বরে থাকায় বাড়তি আনন্দ রয়েছে। অনেক ধরণের গল্প বলার ইচ্ছে থাকলেও তা বক্স অফিস বা ব্যবসার কথা ভেবে অনেক সময় বলা হয় না। সৃজিত জানালেন দশম অবতারের ব্যবসায়িক সাফল্য তাঁকে আরও একটা নির্বাক বা এক্স=প্রেম-এর মতো ছবি তৈরিতে সাহায্য করবে।
দশম অবতার ব্যবসায়িক সাফল্য পেলেও এই ছবি ঘিরেও কম সমালোচনা হয়নি। তাতে সৃজিতের সাফ কথা, ‘আজ অবধি এমন কোনও ছবি আমি তৈরি করিনি, যেটা প্রত্যেকের ভালো লেগেছে’। তবে অধিকাংশ দর্শকের দশম অবতার ভালো লেগেছে, তার প্রমাণ ছবির কালেকশন। বাংলা ছবির পাশে দাঁড়ান, এই বুলি আজকাল আওড়ান টলিপাড়ার সকল তারকাই। অথচ পুজোয় বক্স অফিস দখলের জন্য নিজেরাই মারামারি করেন। ফল, সাফল্য় পেলেও একটা ছবিও ১০ কোটির গণ্ডি ছুঁতে পারেনি। এই নিয়ে কী মত তাঁর?
সৃজিত জানালেন, দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির বড় মাথারা আলোচনা করে এই সমস্যার সমাধান করে। উৎসবের মরসুমে প্রতিযোগিতা এখানেও আটকানো সম্ভব, তবে এর জন্য ইগো দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। তাঁর কথায়, আমি বিশ্বাস রাখি, এমন বোঝাপড়া হওয়ার জায়গা আছে। নিজেদের ইগো সরিয়ে রাখতে হবে।' প্রসঙ্গত, দেবের ‘প্রজাপতি’ শেষ ১০ কোটির ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ছিল।
দশম অবতারের সাফল্যের প্রাণ ভ্রমরা প্রবীর-পোদ্দার জুটি। পরিচালক স্পষ্ট জানালেন ফিরবে এই ‘এশটাবলিশড’ জুটি। কিন্তু কবে? আপতত সেই উত্তরের অপেক্ষা।