আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত ঔরঙ্গাবাদে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনস অব ট্য়ুর অপারেটর্স-দের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক যেমন থাকবে। তেমনি রাজ্য পর্যটন দফতরও থাকবে। রাজ্য পর্যটন দফতরের মন্ত্রী বদল হয়েছে। সেক্ষেত্রে এবার নতুন মন্ত্রী এই জাতীয় স্তরের পর্যটন সম্মেলনে বাংলাকে কতটা তুলে ধরতে পারেন সেটাই দেখার।
তবে সূত্রের খবর, বাংলার পর্যটন দফতর এবার কিছুটা অন্যরকমভাবে নিজেকে উপস্থাপিত করতে চাইছে। আসলে এখন অনেকের হাতেই সময় কম। কম সময়ে বেশিটা পথ ঘুরে আসতে হবে। হাতে গোনা কয়েকটি দিনের মধ্য়ে চারপাশটা ঘুরে নিতে হবে। সেজন্য চাই সঠিক পরিকল্পনা। থাকা, খাওয়া হোটেল ভাড়া, গাড়ি ভাড়া এসবের ঝক্কি নিতে চাইছেন না অনেকেই। মূলত জোর দেওয়া হচ্ছে প্যাকেজ ট্যুরের উপর। আর এবার সেই প্যাকেজ ট্যুর নিয়েই হাজির হবে বাংলা। মূলত বাড়ি থেকে বের হওয়া থেকে বেড়িয়ে ফিরে আসা পর্যন্ত একেবারে সবটার খুঁটিনাটি তুলে ধরতে চাইছে পর্যটন দফতর।
মূলত পর্যটকদের কাছে স্পষ্ট ধারণা না থাকলে তাঁদের পক্ষে দূর থেকে বোঝা সম্ভব হয় না। যেমন ধরা যাক দার্জিলিং। ভিন রাজ্যের পর্যটকদের কাছে দার্জিলিং মানে ম্যাল, চিড়িয়াখানা, টয়ট্রেন আর টাইগার হিল। কিন্তু এর বাইরে দার্জিলিংয়ে অফবিট জায়গা নিয়ে ধারনা কিছুটা কম ভিনরাজ্যের পর্যটকদের কাছে। সেটাই এবার তুলে ধরতে চাইছে পর্যটন দফতর।
সামনেই পুজো। তারপর টানা কয়েকমাস পর্যটন মরশুম চলবে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজ্যে তাদের মতো করে পর্যটনের ডালি নিয়ে হাজির হচ্ছে। একাধিক রাজ্য ইতিমধ্য়ে টিভিতে, সোশ্য়াল মিডিয়ায় তাদের পর্যটন স্থানগুলিকে তুলে ধরছে। তবে পিছিয়ে নিয়ে বাংলাও। এবার জাতীয় পর্যটন সম্মেলনে বাংলার পর্যটন স্থানকে তুলে ধরতে চায় রাজ্য পর্যটন দফতর। কারণ পাহাড় থেকে সমুদ্র, শান্তিনিকেতন থেকে মায়াপুর পর্যটনের মায়া কোনও অংশ কম নেই বাংলায়। সেক্ষেত্রে বাংলার পর্যটনকে এবার প্যাকেজের মোড়কে তুলে ধরতে চাইছে রাজ্য পর্যটন দফতর।
ইতিমধ্য়েই পর্যটনে স্বাচ্ছন্দ্য আরও বৃদ্ধি করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হেল্প লাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। ওয়েবসাইটে নানা ধরনের তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে। এবার জাতীয় ক্ষেত্রে বাংলার পর্যটনকে তুলে ধরার নয়া প্রয়াস।