গরুর দুধে সোনা আছে বলে জানিয়েছিলেন বিজেপির তৎকালীন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে এই গরুর দুধে সোনা আছে কিনা জানা নেই, এই গরুর পেটে অপারেশন করিয়ে সোনার চেন উদ্ধার করলেন গরুর মালিক। কর্ণাটকের উত্তর কন্নড় জেলার হেপানাহাল্লির এই ঘটনাকে ঘিরে একেবারে জোর শোরগোল পড়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর বাড়িতেই গরু পালন করেন শ্রীকান্ত হেগড়ে নামে এক বাসিন্দা। আর সেই সঙ্গে গোমাতা রুপে পুজোও করেন তিনি। সেই মতোই দিওয়ালির দিন বাড়িতে গো পুজোর আয়োজন করেন তিনি। সেই মতো বাড়ির গরুকে ফুলের মালা, ফলমূল দিয়ে পুজো দেন পরিবারের লোকজন। তবে সেই মালার সঙ্গে ২০ গ্রাম ওজনের একটি সোনার হারও গরুর গলায় পরিয়ে দিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। গরুর গলায় দুলছে সোনার হার। এরপর হার আর মালা খুলে পাশেই রেখে দেন বাড়ির লোকজন।
এদিকে পরিবারের অন্য়ান্য় সদস্যরা তখন পুজোর কাজে ব্যস্ত। কিছুক্ষণ পরে বাড়ির লোকজন দেখেন সোনার চেন উধাও। ফুলের মালাও নেই। চারদিকে খোঁজ খোঁজ পড়ে যায়। অবশেষে বাড়ির লোকজন বুঝতে পারেন ফুলের মালা সহ সোনার চেন গরু খেয়ে ফেলেছে। এদিকে শ্রীকান্ত হেগড়ে ভেবেছিলেন একসময় হয়তো গরুর পেট থেকে স্বাভাবিক নিয়মেই বেরিয়ে আসবে সোনার চেন। প্রতিদিন গোয়ালঘরে খোঁজখবরও নেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু সোনার হার আর বেরোয় না। এরপর পশু চিকিৎসকের পরামর্শে স্ক্যান করে দেখা যায়, পেটেই রয়েছে সোনার চেন। এরপর অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু ২০ গ্রামের চেন ১৮ গ্রাম হয়ে গেল কী করে? আসলে সেই চেন যখন উদ্ধার হল তখন ২ গ্রাম রীতিমতো হজম হয়ে গিয়েছে গরুর পেটে।