এবার জ্যোতি মৌর্য্য পার্ট টু। বলা ভালো ঘরে ঘরে জ্য়োতি মৌর্য্য। তবে এবার লেডি অফিসার নন। এবার এক পুরুষ অফিসারের অহমিকার কাহিনি। ইউপির ওই এসডিএমের পরে এবার রাজস্থানের আরএএস (RAS) অফিসার মোহিত পানওয়ারিয়ার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে অফিসার মোহিত পানওয়ারিয়া এক মহিলা নৃত্যশিল্পীকে চিৎকার করে বলছেন, আমি RAS টপার। তুমি অশিক্ষিত। বেরিয়ে যাও এখান থেকে। গেট আউট। এভাবে রীতিমতো অপমান করেন তিনি।
সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। সেখানে দেখা গিয়েছে এক কত্থক শিল্পীকে রীতিমতো গালিগালাজ করছেন ওই অফিসার। আসলে পদমর্যাদার অহঙ্কারে তিনি এই কাজ করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ওই নৃত্যশিল্পী তাঁর ফেসবুকের পাতায় ওই ঘটনাটি শেয়ার করেছেন।
এনিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে বলে খবর। মনে করা হচ্ছে জগৎপুরায় একটা অ্য়াপার্টমেন্টে এই ঘটনা হয়েছে। সেখানে মোহিতের সঙ্গে ওই নৃত্যশিল্পী ঝঙ্কৃতি জৈনর তুমুল কথাকাটাকাটি হয়।
মোহিত আয়কর দফতরে কর্মরত। ওই মহিলা শিল্পীর দাবি মোহিত তাঁকে বলেছেন, জানো আমি আরএএস টপার। আর তোমরা অশিক্ষিত। এমনকী কত্থক ক্লাস বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দেন তিনি। এরপর ওই মহিলা মোহিতের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
আসলে জ্যোতি মৌর্যের সেই ঘটনার পরে একের পর এক ঘটনা সামনে আসছে। আসলে শুধু মহিলা অফিসার হলেই তিনি বাড়িতে মেজাজ দেখান বা পদমর্যাদার অহঙ্কারে ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন এমনটা নয়। পুরুষ অফিসারদের একাংশও তাঁদের স্ত্রী বা বান্ধবীদের সঙ্গে রীতিমতো দুর্ব্যহার করছেন বলে অভিযোগ। আসলে পদের অহঙ্কার থেকে মনের ভেতরের কলুষতা ক্রমে বেরিয়ে আসছে তাঁদের।
জ্যোতি মৌর্য্যর ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছিল?
তিনি ইউপির পিসিএস অফিসার । একাধিক জেলায় এসডিএম হিসাবে কর্মরত ছিলেন তিনি। ২০১০ সালে প্রয়াগরাজের বাসিন্দা অলোক মৌর্যর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। অলোক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। কিন্তু স্ত্রীকে পড়াশোনা শিখিয়ে তিনি পিসিএস পরীক্ষায় বসিয়েছিলেন। ২০১৫ সালে পরীক্ষায় পাস করে পিসিএস অফিসার হন জ্যোতি। এরপরই অলোকের দাবি, অফিসার হয়ে গিয়েই তার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছেন জ্যোতি। এমনকী এক হোম গার্ড কমান্ডান্টের সঙ্গেও জ্যোতির অবৈধ সম্পর্কের কথা টের পান তিনি। আর এনিয়ে আপত্তি তুলতেই অলোককে যৌতুক সংক্রান্ত মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন জ্যোতি।